বাচ্চা নষ্ট হওয়ার লক্ষণ - গর্ভপাত রোধে গর্ভবতী মায়ের করনীয়

একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় তখন তার সব স্বপ্ন থাকে তার গর্ভে থাকা শিশু কে নিয়ে। কিছু সামান্য ভুল কিছু অসতর্কতা ভেঙ্গে দিতে পারে আপনার সকল স্বপ্ন। আপনার স্বপ্নকে আপনারি রক্ষা করতে হবে, আপনাকে সতর্ক হতে হবে। আপনার বাচ্চাকে নিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে  এই পোস্ট খুবি উপকারি হবে আপনার জন্য। 

বাচ্চা নষ্ট হওয়ার লক্ষণ - গর্ভপাত রোধে গর্ভবতী মায়ের করনীয়


পুরো বিশ্বের সব গর্ভবতী নারীর মধ্যে ১০ থেকে ২০ সতাংশ নারী মিসকারীজের শিকার হয়। আপনি যদি একটি সুস্থ্য ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে চান তাহলে এই পোস্টে বর্ণনাকৃত বাচ্চা নষ্ট হওয়ার লক্ষণ গুলো আপনাকে জানতে হবে। গর্ভাবস্থায় কোন কোন লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পেলে আপনার মিশক্যারেজের সম্ভবনা আছে?

বাচ্চা নষ্ট হওয়ার লক্ষণ কি কি দেখুন

একটি মেয়ের গর্ভবস্থার প্রথম দিকে নানা পরিবর্তন দেখা যায় হরমনের কারনে। যা খুবি স্বাভাবিক এমন লক্ষণ সাধারনত সকল মায়ের মধ্যে দেখা যায়। গর্ভবস্থায় সাধারন লক্ষণ গুলো জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।  হঠাৎ করে যদি দেখেন জ্বরয়ায়ু দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা অবশ্যই ভয়ের কারন। আপনি যদি দেখেন জ্বরয়ায়ু দিয়ে বেশি পরিমান রক্ত বা রক্তের চাকা আসতে দেখলেই ডাক্তারের সরনাপর্ন হতে হবে আপনাকে, এটি মিসক্যারিজের অন্যতম লক্ষণ। 

হরমনের পরিবর্তনের কারনে গর্ভাবস্থায় পর্শ্রাবের পরিমান বেরে যায় যা খুবি স্বাভাবিক। কিন্তু জ্বরয়ায়ু দিয়ে একসাথে বেশি পানি নির্গত হয় সেটি মিক্যারিজের লক্ষণ হতে পারে। গর্ভবস্থায় ভ্রনের বৃদ্ধির সাথে সাথে জ্বরয়ায়ু বড় হতে থাকে তাই পেটে ব্যাথা অনুভূত হয়। কিন্তু অনেক বেশি পেটে ব্যাথা অনেকখণ ধরে হতে থাকলে তা বাচ্চা নষ্ট হওয়ার লক্ষণ। আবার অতিরিক্ত কমরে ব্যাথা গর্ভবস্থায় মিশক্যারিজের লক্ষণ এমন ব্যাথা হলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখবেন যত তারাতারি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন তত আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য মঙ্গল বা ভালো। মিশক্যারিজ বা গর্ভপাত হওয়া কোনো বিরল ঘটনা নয় এটি অধিকাংশ মহিলাদের সাথে ঘটে থাকে যা তাদের মনের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে । এই চরম ক্ষতির সাথে মোকাবেলা করার জন্য আপনার মত করে সময় নিন। 

যেসকল খাবার গর্ভপাতের কারন হতে পারে - এই ১২ টি খাবার খাবেন না

একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা অন্তত্য গুরুত্বপূর্ণ। কারন মায়ের খাবার থেকে গর্ভের শিশু পুষ্টি পায়। এমন কিছু খাবার যা গর্ভবস্থায় খেলে গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকা বাচ্চার জন্য ক্ষতি কর। আমরা এখন এমন ১২ ‍টি খাবার সম্পর্কে জানবো যা গর্ভবস্থায় খেলে গর্ভপাতের বা বাচ্চা নষ্ট হওয়ার কারন হতে পারে।

কাচা ডিম: ডিম একটি পুষ্টকর খাবার তবে গর্ভবস্থ্যায় গর্ভবতী মাকে কাচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন কাচা ডিমে ফাওএলা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে, তাই ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ না করে খাওয়া যাবে না।  

কাঁকরা: কাঁকরা ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ এতে কলেস্ট্রল এর মাত্রা বেশি থাকে। এটি জ্বরয়ায়ু কে পুষ্টি দিতে পারে এবং গর্ভপাতের সম্ভবনা দেখা দিতে পারে। গর্ভবস্থায় এটি কাঁকরা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। 

আনারস: গর্ভবস্থায় প্রথমিক পর্যায়ে আনারস খাওয়া বা আনারসের রোস খাওয়া এরিয়ে যাওয়া  ভালো। আনারসে ভ্রমেনালাইন রয়েছে যা  সার্বিস কে নরম করে তুলতে পারে ফলে গর্ভবতী মহিলার সংকচন শুরু হতে পারে। এর ফলে গর্ভপাত বা বাচ্চা নষ্ট হতে পারে। 

কলিজা ও কলিজার তৈরি খাবার: লিভারে রেটিনো থাকে যা একটি পানিজ ভিটামিন-এ , তবে গর্ভবতী মহিলারা এটি প্রচুর পরিমানে খেলে এটি গর্ববস্থায় দূর্দশা দেখা দিতে পারে।

 কাঁচা দুধ: কাঁচা দুধে লিসটেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে তাই ভালো করে  না ফুটিয়ে দুধ পান করা যাবে না। অপাসতরিত দুধ দিয়ে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যেমন নরম পুনির খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।  

পেঁপে: গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁবা বা আধা পাকা পেঁপে খাওয়া বিপদ জনক। কাঁচা পেঁপে বা সবুজ পেঁপেতে এমন উপদান আছে যা জলাব হিসাবে কাজ করে এবং অকালে প্রসব ডেকে আনতে পারে এর ফলে গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটতে পারে। 

সজনে ডাঁটা: সজনে ডাঁটা লোহা, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সমৃৃদ্ধ। গর্ভবস্থায় সজনে ডাটা খাওয়ার সময় গর্ভবতী মায়েদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে । কারন সজনে ডাঁটাতে আলফা সিটেসটোরেল থাকে যা গর্ভবস্থার জন্য ক্ষতি কারক। এটিকে সিমিত পরিমানে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।  

ক্যাফিন: চা-কফি ইত্যাদিতে ক্যাফিন থাকে , অতিরিক্ত ক্যাফিন গ্রহনের ফলে কম উজনে শিশু জন্মগ্রহন করে। দৈনিক ২০০  গ্রামের বেশি ক্যাফিন গ্রহন করা ঠিক নয়। এতে মিসক্যারেজের মত ঘটনাও ঘটতে পারে। 

সামদ্রিক মাস: মাসে অপরিহায্য পুষ্টি উপাদান গুলি থাকলেও গর্ভবতী মহিলাদের উচ্চ মাত্রায় সামদ্রিক মাস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সামদ্রি মাসে পারদ জাতীয় পদার্থ আছে। পরদ খাওয়ার ফলে শিশুদের মস্তিস্কো এবং স্বায়ুতন্তের উপর প্রতিকুল প্রভাব ফেলতে পারে।  

পীচ ফল: পীচ ফল গর্ভাবস্থায় যদি পচুর পরিমানে খাওয়া হয় তাহলে  এটি গর্ভবতী মহিলার শরীরে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি করতে পারে, এর থেকে অবন্তরিন রক্তপাত হতে পারে যার ফলে গর্ভপাত হতে পারে। এই ফল খাওয়ার সময় খোশা ছারিয়ে খেতে হবে কারন ফলের আসগুলো থেকে গলায় জ্বালা ও চুলকানি হতে পারে। 

বন্য আপেল: গর্ভাবস্থায় বন্য আপেল এরানো উচিৎ এগুলোর টক জাতীয় হওয়ায় জ্বরায়ু সংকচন হতে পারে। এর ফলে অকাল প্রসব হতে পারে ও বাচ্চা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। 

মশলা:  মশলায় অনেক পুষ্টিগত গুন আছে গর্ভবস্থায় কিছু কিছু মশলা যেমন- মেথি, হিম, রসুন, আনজেলিকা মেনথলের মত কিছু মশলা এরিয়ে যেতে হবে।  এই মশলা গুলি জ্বরয়ায়ুকে উদজীবিত করে এবং গর্ভপাতের দিকে পরিচালিত করে। 

গর্ভবস্থায় স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাদ্য বজায় রাখা খুবি জরুরি, অতিরিক্ত পরিমানে কিছু খাওয়া গর্ভবস্থ্যায় ক্ষতি কর  হতে পারে। কোন খাবার খেয়ে সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারে পরামর্শ নিন। 

কেনো গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়? - ঘন ঘন গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে

সাধারন এই লক্ষণ গুলো দেখলেই বুঝবেন আপনার গর্ভপাত বা বাচ্চা নষ্ট হতে চলেছে। প্রতি গর্ভবস্থাই আলাদা। শারীরিক অবস্থা একেক জনের একেক রকম। তারপরও কিছু লক্ষণ দেখে গর্ভপাত সম্পর্কে ধারনা করা যেতে পারে। আর এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে আপনার গর্ভের সন্তানটি হয়তো বেঁচে যেতে পারে। তাই  তাই সামধান হন। চলুন জেনে নেই কোন সপ্তাহে কি কি লক্ষণ দেখা দিতে পারে: 

দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ সপ্তাহ : এই সময়ে কেমিকেল প্রেগনেন্সি নামক একটি ঘটনা ঘটে থাকে যেখানে গর্ভধারনের প্রথম কয়েক সপ্তাহে মা নিজেই বুঝতে পারেন না যে তিনি গর্ভবতী। এই সময় গর্ভপাত হলে তা ঋতুস্রাবের মতোই হয়ে যায়।  তাই আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হন। 

চতুর্ত থেকে ১২ তম সপ্তাহ:  গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে গর্ভপাত হওয়ার প্রচলিত লক্ষণ রক্তপাত। তবে গর্ভবস্থায় রক্তপাত হওয়া বেশ সাধারন একটি বিষয়। গর্ভপাত হলে রক্তক্ষরনের মাত্রা হবে অনেক বেশি আর রক্তের আর রক্তের রং বাদামি লাল নয়, তাজা লাল হবে। গর্ভকালীন ‘স্পটিং’ হওয়ার সময়ও রক্তক্ষরণ হয় যা স্বাভাবিক বিষয়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

ব্যথা ও রক্তপাত: ক্র্যাম্প বা মাংসপেশির অনৈচ্ছিক সংকোচন ও ব্যথা গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক ব্যাপার। এর সঙ্গে গর্ভপাতের সম্পর্ক আছে কিনা তা বোঝা যাবে ব্যথার তীব্রতা থেকে । শুধু ক্র‌্যাম্প অনুভুত হলে তা হতে পারে গ্যাসজনীত ব্যাথা কিংবা জরায়ুর প্রসার জনীত ব্যাথ্যা  তবে ব্যথা যদি তীব্র এবং ছুঁচালো কিছু দিয়ে খোচানোর মতো হয় তবে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করাতে হবে এতে ঝুকে থাকতে পারে। 

গর্ভাবস্থার উপসর্গগুলো না থাকা:  বমিভাব, স্তনের সংবেদনশীলতা, অবসাদ ইত্যাদি গর্ভাবস্থার সাধারন উপসর্গ। গর্ভধারনের প্রথম তিন মাস এই উপসর্গগুলো তীব্রতা বেশি হয় এবং পুরো গর্ভধারনের সময় জুড়ে এদের মাত্রা উঠা নামা করে। বমিভাব বা স্তনের সংবেদনশীলতা কমে গেলে কিংবা একেবারে না থাকলে বুঝতে হবে গর্ভাবস্থাজনীত হরমোনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। কারন যে হরমোন গুলো এই অনুভুতির সৃষ্টি করে প্লাসেন্টা সেই হরমোনগুলো  তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে। গর্ভপাত হওয়ার পর অধিকাংশ নারীই তাদের অনুভূতিতে পরিবর্তন লক্ষ করেন।


ঘন ঘন গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়, এ ধরনের সমস্যা নিয়ে অনেক কাপল ডাক্তারের কাছে যায়। হয়ত বিয়ে হয়ে ৫ বছর হয়েছে এবং এর মাঝে দেখা গেছে ৩ - ৪ বার গর্ভধারন করার পরেও গর্ভপাত হয়ে বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে এই সমস্যা টা এতটাই কমন যে, দেখা যায় প্রতি ১০০ জনে ১০ জনের এই ধরনের ঘটনা হতে পারে এবং এটাকে মসিক্যারেজ বলা হয়। অর্থাৎ যেটা ঘন ঘন হয় এটাকে মিসক্যারেজ বলা হয়। এমন সমস্যাতে অনেকে চিন্তা করেন আমার সন্তান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমি ডাক্তারের কাছে গিয়ে কি করবো? আসলে ব্যপারটা তা নয় অবশ্যই আপনাকে অভিঙ্গ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

এমন সমস্যাতে নিদির্ষ্ট কিছু কারন থাকে। তবে দুঃখজনক বিষয় টা হচ্ছে ডাক্তাররা ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জনের এমন সমস্যা হওয়ার কারন খুজে পান না। আর বাকি ৫০ জনের ক্ষেত্রে যে কারন গুলো পাওয়া যায় সেগুলো যদি আমরা সমাধান করতে পারি তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আমরা এই সমস্যা থেকে আমরা পরিত্রান পাবো। 

 গর্ভকালীন সময় টাকে সাধারন ৩টি ভাগেভাগ করা হয়। প্রথম অংশ টা হচ্ছে ১২ সপ্তাহ প্রযন্ত, পরবর্তী অংশটা  ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৮ সপ্তাহ প্রযন্ত এবং এর পরের অংশটা হলো যে সময় টা থাকে। ত দেখা যায় যদি প্রথম ১২ সপ্তাহে যদি কারো গর্ভের সন্তান যাদি নষ্ট হয়,তাহলে এর কারন সাধারন হয়ে থাকে জীনগত সমস্যার কারনে যেটাকে আমরা জেনেটিক ইফেক্ট বলে থাকি । অনেক সময় দেখা যায় স্ত্রী ডিম্বানু ও পুরুসের শুক্রানু যখন একসাথে মিলিত হয় এবং এই দুটোর কোন লেবেলের যদি ছোট ধরনের ডিফেক্ট থাকে তাহলে প্রেগনেন্সিটা ঠিক মত এগোই না।  এমন অবস্থায় দেখা যায় আপনার গর্ভে সন্তান এসেছিলো এবং হার্টবিট চলে যাচ্ছে  অথবা হার্টবিট আসছে না এ ধরনে সমস্যা হতে পারে। 

গর্ভপাতের নির্দিষ্ট কারন চিহ্নিত করা সহজ কথা নয়। তবে প্রতি পাঁচ জন গর্ভবতী নারীর মধ্যে একজন গর্ভপাতের শিকার হন। আর অধিকাংশ গর্ভপাতের কারন হল ভ্রনে থাকা, ক্রোমোজোময়ের অস্বাভিক সংখ্য, গর্ভবতী নারীর করা কোন ভুল নয়। গর্ভপাতের আরও কিছু প্রচলিত কারন হলে - মারাত্বক সংক্রমন, ভয়াবহ আঘাত, জরায়ুর অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি। 

বিঃদ্রঃ যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিওয়া উচিৎ। কারন গর্ভকালীন সময় কোনো বিষয় নিয়ে হেলা করা যাবে না । 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url