কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা-গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া যাবি কি?

গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খেলে কি হয়? হ্যাঁ সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আজকের এই ব্লগপোস্টে জানাবো যে গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খেলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া যাবে কিনা এবং গর্ভবস্থায় কাঁচা আম খেলে কি কি উপকার হবে।

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা-গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া যাবি কি?

গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার সময় আপনারা কোন কোন বিষয়ে সতর্ক হবেন পুরো পোস্ট জুরে বিস্তারিত থাকছে। তার আগে সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলি আপনারা গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খান কি না তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। তো সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলি প্রথমেই আপনাদের কে জানিয়ে দি যে গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খাওয়া যাবে কি না? 

পোস্ট সূচিপত্রঃ কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা-গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া যাবি কি?

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা 

গরমের তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে কাঁচা আম। বিশেষঙ্গরা বলেছেন, কাঁচা আমে থাকে পটাশিয়াম যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, প্রতি একশ গ্রাম কাঁচা আমে থাকে ৪৪ ক্যালরি পটাশিয়াম, ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম। জেনে নিন কাঁচা আম খাওয়ার আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে:- 

  • ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়।
  • কাঁচা আম লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
  • ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • কাঁচা আম হজমের জন্য উপকারি। 
  • কাঁচা আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
  • শরীর ঠান্ডা রাখে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • ত্বক ও চুল ভালো রাখে ।
  • ঘামাচি দূর করে।
  • কাঁচা আমে আয়রন রয়েছে, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক।
  • বুক জ্বালাপোড়া বা অম্লতার সমস্যা দূর করে কাঁচা আম।
  • দুপুরে খাবার পরে কাঁচা আম খেলে ঝিমুনি দূর হয়। 
  • যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম। 
  • কাঁচা আম রক্ত স্বল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারি।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম উপকারি নাকি ক্ষতিকর দেখুন 

গর্ভাবস্থায় আপনি কি কাঁচা আম খাচ্ছেন, যেহেতু এখন বাজারে প্রচুর পরিমানে কাঁচা আম উঠেছে আর টক ঝাল চটপট জাতীয় খাবার গুলো  গর্ভাবস্থায় খেতে বেশ ভালোই লগে কিন্তু।  কাঁচা আম খেয়ে আপনার বাচ্চার কত বড় ক্ষতি করছেন তা কি আপনার জানা আছে। যে কাঁচা আম আপনার স্বাস্থর জন্য খুবি ক্ষতিকারক! কাঁচা আমের অনেক উপকারিতাও আছে। কিন্তু কাঁচা আম ভুলভাবে খেলে অনেক ক্ষতি হতে পারে আপনার শিশুর। তাই জানতে হবে কাঁচা আম খেলে কি হয়, কিভাবে খেতে হবে, আর কারা খেতে পারবে না।  

কাঁচা আমের সিজনে প্রচুর পরিমানে কাঁচা আম পাওয়া যায়, তখন আম খেতে বেশ ভালো লাগে। ছোট হোক বা বড় গর্ভবতী বা স্বাভাবিক মানুষ সবাই কম বেশি এটি খান। আপনি যদি আমার বলা নয়মে সঠিকভাবে এটি খেতে পারেন তবে কি কি উপকারিতা পেতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নি কাঁচা আম আম আপনার ওজন কমাতে পারে এত ক্যালরির মাত্রা খুব কম। গর্ভবস্থায় যাদের ওজন বাড়ার ট্রেডিসি খব বেশি থাকে অর্থাৎ অল্প খাবার খাচ্ছেন কিন্তু হুহু করে ওজন বাড়ছে তারা চান যে তাদের ওজনটা নিয়ন্তণে থাকুক। তারা চটপটা জাতীয় খাবারের মধ্যে এই ফল রাখতে পারেন। এটি আপনার ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে পাশাপাশি এটি ডায়বেটিস রোগিদের জন্য খুবি ভালো কাজ করে এই ফলটি। কাঁচা আম ডায়বেটিস কন্টল করে, গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালাপুড়া করা খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক এসিডিটির সমস্যা হওয়া এগুলো অনেকেরি হয়ে থাকে। আপনি যদি কাঁচা আম খেতে পারেন তাহরে অম্লতা বুকজ্বালাপুড়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এগুলো  থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। গ্যাসের সমস্যার উদ্দেগ ঘটলেই একটুকরো কাঁচা আম খেয়ে দেখুন ফলাফল ভালো পাবেন। এটি মর্নিং সেকনেস বা সকালের অসুস্থতা কে দূরে রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থা মানে মর্নিং সেকনেস সকালে উঠে বমি বমি ভাবের সমস্যা যারা ভোগেন না বলতে হবে তারা ভাগ্যবতী নারী। যারা ভোগেন তারা প্রথম তিন মাস ত খেতে পারেন না। অনেকে ‍পুরো গর্ভবস্থা জুরে কষ্ট পান। 

সকাল বেলা উঠে যদি আপনি প্রথমে একাটি খেজুর খাওযার পরে কিছক্ষণ অপেক্ষা করে একটি বা দুই টি কাঁচা আমের টুকরো খেয়ে ফেলতে পারেন এতে করে আপনার গ্যাস্ট্রিক এসিডিটি বদহজমের পাশাপাশি আপনার সকাল বেলার অসুস্থতা বমি বমি ভাব মাথা ঘুরানো এই সমস্যাগুলো হবে না। এটি ঝিমনি দূর করতেও সাহায্য করে প্রথম প্রথম তিন মাসে ও শেষ তিন মাসের ঝিমুনির সমস্যা খুব বেশি পরিমানে হয়ে থাকে। ক্লান্তি দূরবলতা এসমস্ত সমস্যা গুলো হয়ে থাকে। 

কাঁচা আম আপনাকে আয়রন দিতে পারে যার ফলে আপনার ঝিমুনি দূর হয়ে যায়। দূপুরে যদি আপনার ভাত খাওয়ার পড়ে ঝিমুনি উঠে সে সময় আপনি এক থেকে দু টুকরো কাঁচা আম খেয়ে দেখতে পারেন এটি আপনার এই ঝিমুনি ভাবকে কমিয়ে দিবে। গর্ভবতী নারীদের মধ্যে অনেকেরি যকৃতের সমস্যায় ভুগে থাকেন এর থেকে শরীরে প্রচুর পরিমানে চুলকানি হতে থাকে বিশেষ করে পেটে।

এমন ধরনের চুলকানি দেখা যায় যকৃতের রোগ নিরাময় কাঁচা আম হচ্ছে প্রকৃত বন্ধু । একটুকরো চিবিয়ে খেলে পিওরস ভালোভাবে নিশ্রিত হয় এবং অন্ত্রে জিবানু  সংক্রমণ ধংশ হয়ে যায়। পেটের ভিতরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে কাঁচা আম। গ্রীষ্মকাল পড়তে চলেছে এখন ত্বকে ঘামাছি হবে র‌্যাস হবে ত্বকে ইনফেকশন হবে, চুলকানি হবে, গড়মের পরিমান বেড়ে যাবে। এই সময় কাঁচা আম দিয়ে জুস তৈরি করে খেতে পারলে ঘামাচির উদ্দেগ থাকে না।  সানোক থেকে বাঁচতে পারবেন পাশাপাশি ত্বকে এলার্জি র‌্যাশ চুলকানি ইত্যাদি সমস্যাগুলো আর থাকবে না। কাঁচা আম রক্তের সমস্যা দূর করে, কাঁচা আমের ভিতরে প্রচুর পরিমানে আয়রন বা লৈাহ থাকে যা আপনার লহিত রক্ত কনিকার পরিমান বারায়। 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খাওয়া যাবে কি না?

গর্ভাবস্থায় সাধারনত কাঁচা আম খাওয়া নিরাপদ। আপনারা গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম অবশ্যই ক্ষেতে পারবেন। গর্ভবতীদের জন্য আম উপকারি উপাদেয় হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অনেকের মুখে রুচি থাকে না। গর্ভাবস্থায় মুখের রুচি বাড়াতে বমি এবং বমি ভাব কমাতে কাঁচা আম খেতে পারেন।  তবে এটি খাওয়ার ব্যপারে আপনাদের কে  অবশ্যই কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার । আপনারা ঠিক কতটুকু পরিমানে কাঁচা আম খান কাঁচা আম খেতে লবণ বেশি পরিমানে লাগে আর অতিরিক্ত লবণ গর্ভবতী এবং গর্ভস্থ বাচ্চার জন্য কিন্ত ক্ষতি কর। তাই কাঁচা আম খাওয়ার সময় লবণ খাওয়ার বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খেলে গর্ভবতী মায়েদের কি কি উপকার হয়। প্রথমে যে উপকারটি করে থাকে সেটি হচ্ছে বমিবমি ভাব কমিয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় অনেক নারী মর্নিং সিকনেস বা বমিভূমি ভাব অনুভব করেন। কাঁচা আমের টক স্বাদ এই উপসর্গ কিছুটা উপসম করতে পারে। এর পরে যে উপকারটি করে থাকে সেটি হচ্ছে হজমে সহয়তা করে। তো আপনাদের কাঁচা আম খেয়ে কোন গ্যাস বা হজমে সহয়তা করে। তো আপনার কাঁচা আম খেয়ে কোনো গ্যাস বা হজমে সমস্যা হয় কি না অবশ্যাই কমেন্ট করে জানাবেন। কাঁচা আমে যেহেতু ফাইবার রয়েছে তাই সেটি বিষেশত হজমে সহয়তাই করবে এবং কষ্ঠ কাঠিন্নয় কমায়।

বেশিরভাগ মায়েদের কিন্ত এই কাঁচা আম খেয়ে হজম জনিত সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে অনেকে হতে পারে, এছাড়া কাঁচা আমে প্রচুর ভিটামিন সি, মিনারেল এবং নানা পুষ্টিগুন রয়েছে। যেটি গর্ভবতী মায়েদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আয়রন শষণে সহায়তা করে। 

এর পরে আপনাদের কে জানাবো যে গর্ভবতী ভাইদের কাঁচা আম খাওয়ানোর সময় কোন কোন ব্যপারে সতর্ক হওয়া উচিত। ত আপনার প্রেগনেন্সির কত মাস চলছে কমেন্ট করে জানাবেন। অতিরিক্ত কখনোই কাঁচা আম খাওয়া যাবে না। কারন কাঁচা আম বেশি খেলে গ্যাস, এসিডিটি বা পেটের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া কাঁচা আম খাওয়ার সময় খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ক্ষেতে হবে। কারণ এতে অনেক সময় রাসায়নিক পদার্থ বা জিবানু থেকে যায়। সেটি কিন্ত ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই কাঁচা আম খাওয়ার সময় অবশ্যই ভালো করে পরিষ্কার করে খাওয়াতে হবে। এছাড়া অনেকেই আছেন যে লবনের সাথে ঝাল বা কাঁচা ঝাল মিশিয়ে খেয়ে থাকেন, এই কাজ ভুলেও করা যাবে না। গর্ভবতী মায়েদের লবন লঙ্কা এগুলো এরিয়ে চলায় ভালো। অনেকেই কাঁচা আম লবন লঙ্কা দিয়ে খেয়ে থাকেন যেটি গর্ভাবস্থায় ঝাল বা নুন এরিয়ে চলা উচিত।

পরিমিত এবং সঠিক ভাবে আপনি যদি কাঁচা আম খেতে পারেন সেটি কিন্ত গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য নিরাপদ এবং উপকারিও বটে। তবে যেকোনো খাবার নিয়ে সন্দেহ থাকলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। চাইলে আমি কাঁচা আম দিয়ে আরো বেশি কিছু আপনাদের কে পরামর্শ দিতে পারি। তবে আপনার বয়স বয়স ওজন এবং কত মাস প্রেগনেন্সি চলছে সেটি আমাকে কমেন্ট করেন এবং কি জানতে চাচ্ছেন জানান। 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খাওয়ার পরিণতি দেখুন!

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা-গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া যাবি কি?


এই গরমের মৌসুমে বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি কাঁচা আম কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। আর গর্ভবতী বোনেদের যেহেতু চটপটা  টক জাতীয় ঝাল জাতীয় খাবার খেতে বেশি পরিমাণে ভালো লাগে তাই তারা অনেকেই কাঁচা আম খাচ্ছেন। তবে জানা আছে কি গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খেলে কি হতে পারে। আমের উপকারিতা থাকলেও  এর ক্ষতিকর দিকটাও নিতান্তই কম নয়। সঠিকভাবে এটিকে খেতে না পারলে তবে আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তাই জানতে হবে গর্ভাবস্থায় কিভাবে  আম খেলে এর উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। তাই আপনাকে জানতে হবে কাঁচা আম কিভাবে খেলে আপনার ও আপনার গর্ভের বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

কাঁচা আমের ভিতর প্রচুর পরিমাণে কিছু পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা গর্ভবতী বোন এদের জন্য বেশ উপকারী। যেমন এতে আপনি পেয়ে যান ভিটামিন-C, ভিটামিন-A, ভিটামিন -D6 ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। কাঁচা আমের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম ও পাওয়া যায়। অন্যান্য ফলের মত মিষ্টি না হওয়াতে এতে চিনির পরিমাণ কিন্তু একেবারেই নেই। যারা ডায়েট করছেন বা গর্ব অবস্থায় যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন, তারা  অবশ্যই কাঁচা আম খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ফলের কাঁচা আম খেলে গর্ভবতী বোনদের শরীরের যে পুষ্টির অভাব আছে তা দূত পূরণ হয়ে যায়।  কাঁচা আমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করে। তাই এটি গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে, চেহারা খারাপ হয়ে যেতে দেয় না।

কাঁচা আমের ভিটামিন-ই, শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। আমরা সকলেই জানি গর্ভবতী একজন মহিলার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিপুল পরিমাণে কমে যায়। কাঁচা আমের দুইটি ক্যারোটিন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে পাশাপাশি এটি আপনার হৃদপিন্ডের জন্য ভালো কাজ করে। হৃদপিণ্ড যখন ভালোভাবে কাজ করতে পারবে তখন দেহে ভালোভাবে রক্ত পৌঁছাবে। আর দেহে যদি ভালোভাবে রক্ত পরিচালিত হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চা ও ভালো পুষ্টি পাবে।

এমাইলেস নামক পাঁচক এনজাইম কাঁচা আমের মধ্য পাওয়া যায়। তাই গর্ভাবস্থায় কেউ যদি কাঁচা আম  খায় তার অ্যাসিটি কোষ্ঠকাঠিন্য  বদহজমের সমস্যা এগুলো দূর করে দেয়।

 কাঁচা আম কি গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি করে?

গর্ভবতী আর টক পছন্দ করেন না এটা হতে পারে না। এই একটা বিষয়ে আমরা সবাই একমত যে গর্ভবতী মায়েদের টক জাতীয় খাবার খুব পছন্দ। তবে সকল ধরনের টক গর্ভবতী মায়েদের শরীর এবং বাচ্চার জন্য উপকারী নাও হতে পারে। কাঁচা আম গর্ভবতী মা ও বাচ্চার জন্য নিরাপদ কিনা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

কাঁচা আম সাধারণভাবে সুরক্ষিত, তবে অতিরিক্ত খেলে কিছু সমস্যা হতে পারে।
  • এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ভালো, তবে অতিরিক্ত খেলে এসিডিটি বা পেটের গ্যাস হতে পারে।
  • অপরিষ্কার বারাসনিক যুক্ত কাঁচা আম খেলে সংক্রমণ বা বিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে, যা গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি করে।
  • কাঁচা আম বেশি খেলে দাঁড়িয়া বা হজমের সমস্যা হতে পারে, যা গর্ভবতী নারীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
  • কাঁচা আমের যদি ক্যালসিয়াম  কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়, তবে তা ভক্ষণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পরিমিত ও পরিষ্কার কাঁচা আম খাওয়া নিরাপদ, তবে সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

আম খাওয়ার উপকারিতা

১) আম খেলে মনে ভালোবাসার উদ্রেক হয় তাই আঙ্কেল লাভ ফুট বলা হয়।

২) ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে, ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

৩) আমের ভিটামি -এ, চোখের জন্য খুব ভালো। যারা ড্রাই আই সমস্যায় ভুগছেন তারা আম খেয়ে উপকার পেতে পারেন।

৪) আমি আছে ট্রিপটোফ্যান, মেলাটোনিন ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের ঘুমকে তারান্বিত করে। অনিদ্রা দূর করে।

৫) আমের অ্যালকালাইজিং উপাদানগুলো এসিডিটি প্রশমিত করতে কাজ করে।

৬) আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো স্তন ক্যান্সার থেকে শুরু করে কোলন ক্যান্সার, পোস্টেট ক্যান্সার ও লিউকেমিয়ার নিয়ে আর বিরুদ্ধে লড়তে এগুলো বেশ কাজের

আম বেশি খেলে কি হয়

গরমে আমের সুমিষ্ট স্বাদ কি অপেক্ষা করা যায় সুস্বাদু এই ফলের জন্য আমরা বছরের অন্যান্য মাসগুলোতে অপেক্ষা করে থাকি। শুধু কি স্বাদ পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফলের ভিটামিন- এ, বি , সি, ই কে এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত খনিজসহ পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ একটি ফল হল আম। প্রিবয়োটিক ডায়েটরি ফাইবারও রয়েছে যা অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার খাবার হিসাবে কাজ করে। তবে বেশি আম খাওয়া হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আপনার যদি ল্যাটেক্সে  এল্যার্জি থাকে তবে সতর্ক থাকুন। কারন আমের প্রটিন ল্যাটেক্স এর মতই এটি চুলকানি এবং আম বাতের কারন হতে পারে। যার ফলে গলা ফুলে যেতে পারে এবং শ্বাস নিতে গুরুতর অসুবিধা হতে পারে। 

ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য একটির বেশি আম খাওয়া এরিয়ে চলা উচিৎ। কারণ এটি ব্লাড সুগার বাড়তে পারে এই ফলের বেশিরভাগিই কার্বোহাইড্রেট, এটি বিশ্বাস করা কঠিন তবে এই সুমিষ্ট ফলের শর্করা পরিশধিত চিনির মতই কাজ করতে পারে। আম বেশি খেলে ডারিয়া হতে পারে কারন এতে পচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল অতিরিক্ত খাওয়া হলে তা ডায়রিয়ার কারন হতে পারে। বেশি আম খাওয়া তা ওজন বাড়তে সাহায্য করতে পারে। একটি আমে প্রায় ২০১ ক্যালরি থাকে তাই প্রতিদিন মাত্র দুই কাপ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেক আম কৃত্রিম ভাবে পাকানো হয়। আপনি যদি অতিরিক্ত রসআলো এবং মিষ্টি আম খেয়ে থাকেন তবে সাবধান হন।  কারন সেগুলো রাসায়োনিকভাবে পাকানো হতে পারে। 

শেষ মন্তব্য

কাঁচা আম ভিটামিন ও পুষ্টিগুনে ভরপুর আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারি। আর উপকারি  যেকোনো জিনিস অতিরিক্ত গ্রহন বা ভক্ষণ করলে ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে হয়। আম যেমন উপকারি তেমনি ক্ষতিকর। শুধু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নয় সকল সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্যও ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ফলের উপকার নিতে হলে পরিমিত খেতে হবে। আপনি মনে করছেন আমে উপকার আছে, যত বেশি খেতে পারবো তত বেশি উপকার। এমন টা একেবারে করা যাবে না আর গর্ভবতি মায়েদের কাঁচা আম খুবি অল্প পরিমানে খেতে হবে এক থেকে দুই টুকরো। এরপরেও যদি আপনার মনে সন্দেহ থেকে থাকে বা, থাকার কথা যেহেতু আপনি গর্ভবতি বাচ্চার ব্যপারে সতর্ক। তাই খাওয়া-দাওয়া ব্যপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সকলের সুসাস্থ কামনা করছি, আস-সালামুয়ালাইকুম। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url