নতুন ওয়েবসাইট Google Ranking-এ তোলার ১০ টি বাস্তবধর্মী কৌশল
আর্টিক্যাল লেখার জন্য সর্ব প্রথম আপনার প্রয়োজন হবে একটি নিষ নির্বাচন করা। আপনি
যদি ব্লগপোস্ট বা আর্টিক্যাল লেখতে চান তাহলে আপনার নির্বাচনকৃত নিষ বা টপিক
জনপ্রিয় হতে হবে। মানে আপনি যখন আর্টিক্যাল লিখতে যাবেন প্রথমে আপনাকে রির্সাস
করতে হবে জনপ্রিয় টপিক। যে কিওয়ার্ড নিয়ে আপনি আর্টিক্যাল লেখবেন চিন্তা করছেন,
ওই কিওয়ার্ড নিয়ে লোকজন কেমন সার্চ করে বা গুগোলে কেমন সার্চ হয় নাকি সার্চ হয়
না এই বিষয়টি রিসার্চ করে দেখতে হবে।
আর্টিক্যাল লিখে প্রতি মাসে ১৫,০০০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব, যদি আপনি
ব্লগপোস্ট লেখালেখি জানেন তাহলে বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইটে আর্টিক্যাল লিখে আয়
করতে পারবেন। চিন্তা করছেন আমি ত এমন কোনো ওয়েবসাইট এর সঙ্গে পরিচিত না, এই
পোস্টটি পড়ে আর্টিক্যাল লিখা শিখে কাজ পাবো কোথায়? সে জন্য আমরাই দিচ্ছি এমন
সুযোগ, আমার এই পোস্টটিতে দেখানো নিয়মে আর্টিক্যাল লেখতে পারলে প্রতিমাসে বিভিন্ন
বিষয়ে লেখালেখি করে ১৫,০০০ টাকা বেতনে চাকরি করতে পারবেন আমাদের সাগরমাক্স
ব্লগসাইটে বা আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে সেখানে পাবলিশ করে ইনকাম
করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নিওয়া যাক SEO ফ্রেন্ডলি
আর্টিক্যাল লেখার নিয়ম ও অ্যাডভ্যান্স টিপস এবং ট্রিপস পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ
হবে যারা আর্টিক্যাল রাইটিং শিখতে চান তাদের জন্য। তো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন
এবং বর্ণণাকৃত বিষয় গুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন।
পোস্টসূচিপত্রঃ Ai দিয়ে SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিক্যাল লেখার নিয়ম- সেরা ৫ টি
কৌশল
কিওয়ার্ড বা টপিক রিচার্স করবেন যেভাবে
SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিক্যাল লেখার জন্য আপনাকে হাইভ্যালু SEO কিওয়ার্ড রিচার্স করতে
হবে। আপনি যখন একটি ব্লগপোস্ট লেখার সিন্ধান্ত নিবেন প্রথমেই আপনাকে টপিক
সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যখন কিওয়ার্ড নির্বাচন করবেন তখন অবশ্যই রিসার্চ করে
দেখবেন যে কিওয়ার্ড গুলো দিয়ে লোকজন প্রতিনিয়ত গুগোলে কেমন সার্চ করে অর্থাৎ ওই
কিওয়ার্ডের সার্চ রেজাল্ট কেমন দেখে নিতে হবে । তাহলে একটি কিওয়ার্ডে কেমন সার্চ
হলে আপনি সেই কিওয়ার্ড টি নিয়ে আর্টিক্যাল লিখতে পারবেন, সাধারনত একটি কিওয়ার্ড
এর সার্চ ৪০ থেকে ৫০ হতে হবে বা এর বেশি হলে সমস্যা নাই, তবে এর কম হওয়া যাবে
না।
আর্টিক্যাল লেখার জন্য যে কিওয়ার্ড গুলো নিয়ে আপনি কাজ করবেন ওই কিওয়ার্ড যেন
অবশ্যই আপডেট হয়। মানে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্লগপোস্ট
লেখালেখি করা। যেমন ধরনে নতুন অ্যাপস বা নতুন কোনো বিষয় যে বিষয় গুলো নিয়ে
সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে মানুষ জানার ইচ্ছা প্রশন করে, কিওয়ার্ড নির্বাচন করার
জন্য যে সকল নিষগুলোতে বিশেষ ভাবে ফোকাস করবেন যেমন- ইনকাম রিলেডেট পোস্ট ,
ইসলামি পোস্ট, টেকনোলজি পোস্ট যেমন বিভিন্ন ডিভাইজ সেটা যেকোনো ডিভাইস হতে পারে
কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা, মটরসাইকেল এর বিভিন্ন
পার্স বা ডিভাইস ইত্যাদি। বাইকাররা তাদের মটরসাইকেল এডিট মডিফাই করতে পছন্দ
করে আর এগুলো করার জন্য বিভিন্ন পার্স মার্কেটে নতুন নতুন আসে এই বিষয় গুলো নিয়ে
ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন তাহলে অনেক বেশি রেসপোন্স পাবেন, অন্যান্য বিষয় নিয়ে
লিখলেও সমস্যা নাই শুধু ওই কিওয়ার্ড সার্চ হাইভ্যালু হতে হবে।
আর্টিক্যাল লেখার জন্য কিওয়ার্ড রির্সাস করার সময় অবশ্যই আপনাকে লংটেল কিওয়ার্ড
নির্বাচন করতে হবে। যেমন ধরেন আপনি একটি ল্যাপটপ রিভিউ দিয়ে পোস্ট লিখতে
চাচ্ছেন, তহলে শুধুমাত্র ওই ল্যাপটপের নাম মূল টাইটেলে দিয়ে বিস্তারিত
বর্ণণা দেওয়া শুরু করবেন, না এমন টা করা যাবে না। আপনাকে ওই ল্যাপটপ সম্পর্কে
ভালো ধারনা নিতে হবে এর পরে লংটেল টাইটেল দিতে হবে ওই ল্যাপটপের ভালো দিক
অল্প কথায় তুলে ধরে। টাইটেল কোনটা, হেডিং কোনটা, ব্লগপোস্ট কিভাবে এডিট
মডিফাই করবেন এসব আমরা পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত জনবো। তাহলে আরো একবার লংটেল
কিওয়ার্ড নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করি , এই পোস্টের ফোকাস কিওয়ার্ড হলো
"আর্টিক্যাল লেখার নিয়ম" এই কিওয়ার্ড কে লংটেল কিওয়ার্ড বানানোর জন্য আমি কি
করেছি সামনে দিয়েছি "SEO ফ্রেন্ডলি" আর শেষের দিকে দিয়েছি "অ্যাডভ্যান্স টিপস ও
ট্রিকস" এতে করে আমার কিওয়ার্ড টা লং হলো এবং আকর্ষনীয় হলো। তাহলে আপনাকে এমনভাবে
টাইটেলে কিওয়ার্ড দিতে হবে যাতে অল্প কথায় মূল বিষয় মানুষদের বুঝানো যায় এবং
লোকজন টাইটেল দেখেই যেন আকৃষ্ট হয় পোস্টটি পড়ার জন্য।
কিওয়ার্ড রির্সাস করার জন্য যে টুলগুলো ব্যবহার করবেন
কিওয়ার্ড রির্সাস করার জন্য অনেক টুল পাওয়া যায়, এর মধ্যে আমরা দুইটি
কিওয়ার্ড রির্সাস টুল সম্পর্কে জানবো এবং আর্টিক্যাল লেখার জন্য ব্যবহার
করবো।
- Free Keyword Generator Tool
- Google Trends
লংটেইল কিওয়ার্ড তৈরি করতে আপনাকে Free Keyword Generator Tool অনেক
বেশি হেল্প করবে। আপনি একটা কিওয়ার্ড লিখে দিলে আপনাকে ওই কিওয়ার্ড দ্বারা অনেক
টাইটেল বানিয়ে দিবে যেগুলো দিয়ে গুগোলে মানুষ সার্চ করে এবং কেমন সার্চ করে, ওই
কিওয়ার্ড নিয়ে আপনি ব্লগপোস্ট লিখলে গুগোলে কত নম্বার প্রজিশনে থাকতে
পারবেন এ রকম অনেক ধারনা এই টুল টির মাধ্যমে পাবেন আপনি। শুধু মাত্র গুগোলে
পোস্ট লেখার জন্য কিওয়ার্ড না আপনি ইচ্ছা করলে ইউটিউব এ ভিডিও বানানোর জন্য
কিওয়ার্ড এখান থেকে জেনারেট করতে পারবেন।
শুধু এখানে আপনার ইচ্ছামত একটা কিওয়ার্ড লিখে দিবেন তাহলে ওই কিওয়ার্ড এর পুরো
ডিটেলইস আপনাকে বের করে দিবে। কিওয়ার্ড দিয়ে ক্যান্টি সিলেক্ট করে ফাইন্ড
কিওয়ার্ডে ক্লিক করুন এটা আপনার চাহিদা অনুযায়ি কিওয়ার্ড বানিয়ে দিবে। আপনি
যখন কিওয়ার্ড রির্সাস করবেন অবশ্যই ক্যান্টি সিলেক্ট করবেন, আপনি যে দেশে থেকে
সার্চ করছেন বা আপনি যে দেশের কিওযার্ড নিয়ে আর্টিক্যাল লিখতে চাচ্ছেন সেই দেশ
সিলেক্ট করতে হবে।
যেকোনো ব্রাউজার থেকে Free Keyword Generator লিখে সার্চ দিলে আপনার সামনে ahrefs
নামের একটি সাইট চলে আসবে। আপনি ক্লিক করে সাইটটির ভিতরে প্রবেশ করবেন এখানে
আপনার লগইন বা সাইনইন করার প্রয়োজন হবে না এবং ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
কিওয়ার্ড রির্সাস করার ক্ষেত্রে এই সাইট আপনার অনেক বেশি কাজে আসবে এবং লংটেল
কিওয়ার্ড তৈরি করতে হেল্প করবে।
Google Trends
Google Trends আমাদের কোনো একটি কিওয়ার্ড সম্পর্কে এবারে একোরেট ধারনা দেয়।
Google Trends গুগোলের একটি সাইট এটাকে তেরি করা হয়েছে গুগোল সার্চ রেজাল্ট
দেখার জন্য ও গুগোলের ডাটা বিশ্লেষণ করার জন্য। আপনাকে যদি এই বিষয়টা আর একটু
সহজ করে বলি তাহলে বুঝতে সুভিধা হবে। গুগোল কে আমরা সার্চ ইন্জিন নামে চিনি,
অজানাকে জানতে গুগোল আমাদের সাহায্য করে। তো গুগোলে এই বিশ্বজগত থেকে সার্চ হয়,
মানে সকল দেশের মানুষ গুগোল ব্যবহার করেন। সারা বিশ্ব থেকে মানুষ প্রতিদিন কেমন
সার্চ করে কতজন মানুষ সার্চ করছে , কোন বিষয়ে কতজন মানুষ সার্চ করছে, কোন দেশ
থেকে কোন টপিকে সার্চ হচ্ছে কতজন সার্চ করছে এইরকম ইত্যাদি ডিটেইলস Google
Trends সংগ্রহ করে এবং কেউ জানতে চাইলে তাদেরকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করে।
আর্টিক্যাল লেখার জন্য কিওয়ার্ড রির্সাস করতে প্রোব্লগাররা এই সাইটটি ব্যবহার
করে। কারন এখান থেকে গুগোলের সঠিক ধারনা পাওয়া যায় এবং ট্রেন্ডিং টপিক খুজে
বের করে বা আপনি যে কিওয়ার্ড দিয়ে সার্স করছেন ওই কিওয়ার্ড বর্তমান সময়ে কতজন
সার্চ করছে আগামিতে কেমন সার্চ হবে এই কিওয়ার্ডে A to Z প্রোপারলি ধারনা
পাবেন।
আপনি এই সাইটিতে প্রবেশ করলেন কিওয়ার্ড রির্সাস করার জন্য আপনার সামনে এরকম
ইন্টারফেস সো করেবে । আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আর্টিক্যাল লিখবেন সে জন্য
আপনি গুগোল ট্রেন্ড অপন করেছন কিওয়ার্ড ফাইন্ড করার জন্য, এখন আপনি আম খাওয়ার
উপকারিতা লিখে সার্চ করবেন? না পুরো কিওয়ার্ড দিয়ে আপনকে সার্চ করতে হবে না। আপনি
শুধু আম লিখে সার্চ করবেন তাহলে গুগোল ট্রেন্ড আপনাকে আম নিয়ে যত প্রশ্ন আছে বা
লোকজন আম সম্পর্কে কি কি জানতে চায় গুগোলের কাছে এসমস্ত প্রশ্ন কালেক্ট করে আপনার
সামনে তুলে ধরবে। নিচে দেওয়া ইমেজটি দেখুন ঠিক এরকম করে আপনার কাজকে সহজ ও
স্কিলফুল করে তুলবে।
আম নিয়ে বাংলাদেশর কোন ডিভিশন থেকে কতজন মানুষ প্রতিনিয়ত সার্চ করছে বর্তমান সময়ে
এবং কি লিখে প্রশ্ন করছে গুগোলে কাছে এসকল বিষয় আপনি পৃষ্টা পরিবর্তন করে দেখতে
পারবেন। আর্টিক্যাল লেখার প্রথম ধাপ হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্স, আপনি যত বেশি
কিওয়ার্ড রিসার্সে সময় দিবেন আপনার কনটেন্ট র্যাংক করার সম্ভবনা তত বেশি।
আপনাকে হাইভ্যালু কিওয়ার্ড খুজে বের করতে হবে যে কিওয়ার্ড গুলো দিয়ে গুগোলে
প্রতিনিয়ত মানুষ সার্স করছে।
গুগোল ট্রেন্ড এর এই অংশ থেকে আপনি জানতে পারবেন আম নিয়ে কেমন সার্স হচ্ছে এবং
কতজন আজকে সার্স করেছে ,কোন মাসে কেমন সার্স হয়েছে। মানে দিন, তারিখ, মাস, বছর
কখন কেমন সার্স হচ্ছে আম নিয়ে সমস্ত কিছু বিস্তারিত দেখতে পাবেন। Google Trends
ব্যবহার করে আপনি কিওয়ার্ড ফাইন্ড করলে আপনার অডিয়েন্স টারগেটিং সহজ হবে এবং
ব্লগপোস্টে ভালো ভিজিটর পাবেন।
শিরোনাম তৈরিতে মনোযোগ
একটি আর্টিক্যাল এর শিরোনাম পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আপনার আর্টিক্যাল শিরোনাম যত সুপষ্ট হবে ততই পাঠকরা আর্টিক্যাল পড়তে আগ্রহি হবে
এটি শুধু পাঠকদের জন্য নয়, সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন ( SEO ) জন্য অতন্ত্য
গুরত্বপূর্ণ। সঠিক শিরোনাম তৈরিতে কিছু নির্দিষ্ট কৈাশল অনুসরন করতে হবে।
শিরোনাম আপনাকে এমনভাবে দিতে দিতে হবে যাতে শিরোনাম দেখেই অনেকটা উপলব্ধি
করা যায় পোস্টটি পাঠক এর জন্য উপকারি বা পাঠক যা চাচ্ছেন সেটা এই পোস্টে পাবেন।
আপনি যে টপিকে আর্টিক্যাল লিখছেন ওই বিষয়ে ভালোভাবে রির্সাস করে টপিকটির A
to Z ধারনা নিয়ে নিবেন তাহলে আপনার শিরোনাম তৈরি করতে অসুবিধা হবে না এবং দর্শকের
মনোযোগ আকর্ষণ করে শিরোনাম দিতে পারবেন। আপনাকে শিরোনাম এমন ভাবে দিতে হবে যাতে
পাঠকের মনে কৌতূহল জাগায়। এটি যেন আর্টিক্যাল এর মূল বিষয় বস্তু সম্পর্কে একটি
স্পষ্ট ধারনা দেয়। পাঠকরা সাধারনত এমন শিরোনামে ক্লিক করেন যা তাদের প্রশ্ন উত্তর
দিতে পারে। এখন আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখেন আপনি যখন কোনো কিছু জানার জন্য
গুগোলে প্রবেশ করেন এবং সার্স করেন তখন আপনি কি করেন। প্রথম কয়েকটা ওয়েবসাইট দেখে
আপনার কাছে যে পোস্ট এর শিরোনাম টাইটেল ভালো লাগে আপনি ওই পোস্টে ক্লিক করেন। ঠিক
একই রকম ভাবে আপনাকে আপনার আর্টিক্যাল সাজাতে হবে লেখতে হবে যাতে একজন পাঠক
শিরোনাম দেখে আপনার পোস্ট পড়ার জন্য ক্লিক করেন। পাঠকরা সাধারনত এমন পোস্টে ক্লিক
করেন যা তাদের প্রশ্ন উত্তর দিতে পারে। উদহারণস্বরুপ " SEO ফ্রেন্ডেলি
আর্টিক্যাল লেখার ৫ টি সেরা কৌশল " শিরোনামটি সহজেই পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ
করবে।
শিরোনামে কিওয়ার্ড ব্যবহার
সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার শিরোনাম কে SEO ফ্রেন্ডিলি করতে সাহায্য করে। শিরোনামে মূল
কিওয়ার্ড যুক্ত করলে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই বিষয়টি বুঝতে পারে। উদহারণস্বরুপ
"SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিক্যাল কিভাবে লেখবেন?" শিরোনামে "SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিক্যাল"
কিওয়ার্ডটি স্পষ্টভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
অপ্রাশঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। এটি পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে পারে এবং
সার্চ ইঞ্জিনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রাশঙ্গিক এবং আর্টিক্যালের বিষয়বস্তু
অনুযায়ী কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। শিরোনাম তৈরির সময় কিওয়ার্ডের পাশাপাশি মানসম্মত
ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করুন। এটি পাঠকদের মধ্যে বিশ্বাস সৃষ্টি করে এবং
আর্টিক্যাল এর প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ায়।
যেভাবে SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিক্যাল লেখবেন
আপনার আর্টিক্যাল এর শুরুতে ৩-৫ লাইনের ভূমিকা থাকবে। আপনি যে টপিকে পোস্ট লেখতে
যাচ্ছেন ওই টপিকে ভূমিকা দিতে হবে পোস্টের শুরুতে, ভূমিকা ৩-৫ লাইন এর বেশি হলেও
সমস্যা নাই তবে বেশি বড় ভূমি কেউ পছন্দ করে না তাই ভূমিকা লাইন কম করে দিন।
পাঠকদের ভূমিকার মাধ্যমে বুঝান এই পোস্ট এর ভিতরে কি কি আছে পাঠক এই পোস্ট পড়লে
উপকৃত হবেন। আপনার ভূমিকার প্রতকেটা লাইন পড়ে পাঠক যেন বিশ্বস্তা খুজে পাই । এমন
ভাবে কথাগুলো গুছিয়ে ভূমিকা দিবেন যাতে পাঠকের মনে হয় ১০০% হবে, মানে
আপনাকে জোর দিয়ে কথা বলতে হবে। হ্যা আমি যেটা বলছি এটাই ঠিক এবং ১০০% গ্যারেন্টি
এটাই ঠিক , এমন ভাবে ভূমিকা দিতে হবে এই পোস্ট পড়রে আপনি ঠকবেন না আপনার কাজে
আসবেই 100% বা আপনি উপকৃিত হবেন ইনশাআল্লাহ।
ভূমিকা দিতে হবে দুটি প্যারা করে প্রথম প্যারাতে পাঠকে পোস্ট পড়ার জন্য আকৃষ্ট
করলেন এবং দ্বীতিয় প্যারাতে আপনার পোস্টে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং কোন
কোন টপিক সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমস্ত পাঠককে জানাতে হবে আর পোস্টটি পড়ার জন্য
উৎসাহিত করতে হবে।
ভূমিকার প্রথম কিওয়ার্ড হবে ফোকাস কিওয়ার্ড । আপনার নির্বাচন করা কিওয়ার্ডটি
যেকোনো প্যারার যেন শুরুতে থাকে। SEO এর ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ হলো
আপনার আর্টিক্যাল এর বডি গঠনের সময় প্যারা প্যারা করে আর্টিক্যাল লেখবেন এতে করে
পাঠকদের আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন সেটা সহজে বুঝাতে পারবেন এবং পাঠকও বুঝতে পারবে।
আপনি যদি একডালা শুধু লেখেই যান পোস্ট তাহলে পাঠক পড়তে বিরক্ত হবেন। প্যারা করে
আর্টিক্যাল লেখলে পাঠকরা বিরক্ত হয় না পোস্ট পড়তে ছাছন্দবোদ করে। কারন পাঠক কয়েক
লাইন পড়ার পড়ে কয়েক সেকেন্ড এর বিরতি পায় এই সয়ম টা পাঠকের মন পোস্টে স্থিতিশীল
হয় এবং ওই প্যারাতে কি বলা হলো বিষয় টি পাঠকের মনে থাকে । সবথেকে বড় বিষয় হলো
আপনার পোস্ট পরিষ্কার পরিছন্নো দেখায় পাঠকদের নজরে।
প্যারা করে পোস্ট লেখার সময় আপনার ফোকাস কিওয়ার্ডটি সবগুলো প্যারার শুরুতে রাখার
চেষ্টা করবেন এবং ফোকাস কিওয়ার্ড এর সাথে সমজ্জো করে মিলিয়ে প্যারার প্রথম লাইন
শুরু করবেন এই অভ্যাসটি SEO এক বড় অংশ। এভাবে পোস্ট এর প্যারার শুরুতে ফোকাস
কিওয়ার্ড রেখে পোস্ট লেখলে গুগোলের পোস্ট খুজে পেতে সহজ হয় এবং দ্রুত আপনার
পোস্টটি খুজে পাবে এবং পাঠকদের সামনে ১ নম্বার প্রজিশনে তুলে ধরবে।
একজন পাঠক যখন কিছু জানার জন্য গুগোলে প্রবেশ করেন এবং সার্চ করেন তখন গুগোল
দ্রুত সেই বিষয় সম্পর্কে সেই পাঠকের সামনে তুলে ধরে। এখন ধরেন একটি টপিকে ৫০০
ওয়েবসাইট পোস্ট লিখে রাখছে, এখন গুগোল কোন ওয়েবসাইটকে সবার আগে দেখাবে? ধরেন আপনি
আম খাওয়ার উপকারিতা জানতে চেয়ে গুগোলে সার্চ করেছেন। এই আম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে
৫০০ ওয়েবসাইটে ব্লগ লেখা আছে। গুগোল কি আপনার সামনে ৫০০ ওয়েবসাইট একসাথে দেখাবে?
এটা কি সম্ভব, কখনই না। আপনাকে ওই ওয়েবসাইট টা দেখাবে যে ওয়েবসাইটে আম সম্পর্কে
বিস্তারিত লেখা আছে SEO ভালো। তাহলে আপনার পুরো পোস্ট জুরে ফোকাস কিওয়ার্ড
রাখতে হবে সর্বনিম্ন ৮-৯ বার আর বেশি হলে ১৫ বার ফোকাস কিওয়ার্ড একটি পোস্টে
রাখবেন। আপনি যে টপিকে পোস্ট লিখছেন ওই টপিক সংলিষ্ঠ আরো কয়েকটি পোস্ট পর পর
লিখতে হবে। যাতে আপনি একটি পোস্ট কে অন্য আরেকটি পোস্টের ইন্টারনাল লিংকিং করতে
পারেন। ইন্টারনাল লিংকিং আপনার পোস্টের SEO স্কোর বাড়ায় ও পাঠককে আপনার
ওয়েবসাইটে বেশি সময় ব্যায় করায়।
আর্টিক্যাল লেখার নিয়ম সর্বনিম্ন ১৫০০ ওয়ার্ড ও সর্বচ্চ ৩০০০ ওয়ার্ড বা এর বেশি
হলেও সমস্যা নাই, তবে ১৫০০ ওয়ার্ড হতে হবে। আপনার পোস্টের শিরোনাম কি দিয়েছেন ওই
বিষয় টা বিস্তারিত ভেঙ্গে ভেঙ্গে বর্ণণা দিতে হবে। হেডিং দিতে হবে এবং
হেডিং অনুযায়ী তথ্য দিতে হবে সাজিয়ে গুছিয়ে। স্ক্রিনশোট এড করতে হবে, পাঠকদের
যেকোন বিষয় শুধু লিখে বুঝালে বুঝানো সমস্যা হয় এতে পাঠকদের বুঝতে অসুবিধা হয়
বুঝতে পারে না। সেক্ষেত্রে আপনি স্ক্রিনশোট দিয়ে বুঝাবেন এতে করে পাঠগনের
বিষয়গুলো বুঝতে সুবিধা হবে। মনে রাখবেন আপনি যত নিক্ষুত করে যেকোনো বিষয় ক্ষুদ্র
ক্ষদ্র করে বোঝাতে পারবেন ততই আপনার পোস্ট গুগোলের কাছে বেশি প্রাধান্য পাবে এবং
র্যাংক করবে। পুরো পোস্ট জুরে "আরো পড়ুনঃ" সেকশন এড করুন আপনি প্রথম একটা
পোস্ট যে টপিক নিয়ে লিখবেন ওই টপিক এর সাথে মিল আছে, মানে প্রাসংগিক আরো কয়েকটা
পোস্ট আপনাকে লেখতে হবে যাতে একটি পোস্ট আরেকটি পোস্টের মেধ্য ইন্টারনাল লিংকিং
করতে পারেন ও "আরো পড়ুন" সেকশন এড করতে পারেন। আপনার পোস্টের ৫০% SEO
ইন্টারনাল লিংকিং বহন করে।
SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিক্যাল তৈরি করতে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের একটি পোস্টের সাথে
অন্য আরেকটি পোস্ট কে জুরে দিতে হবে। ধরেন আপনি আম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে
আর্টিক্যাল লেখছেন। তাহলে আপনাকে ফলমূল নিয়ে আরো কিছু পোস্ট আপনাকে লেখতে
হবে আর যদি আগের থেকে লেখা থাকে তাহলে শুধু একটি পোস্টের সাথে আরেকটি জুরে
দিবেন। এতে করে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পাবে, পাঠক যখন আম এর উপকারিতা জানতে আপনার
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন তখন আমের উপকারিতা জানতে পারবেন। আর আপনি যখন আমের
উপকারিতা পোস্টের ভিতরে অনান্য ফলমূলের উপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক ইন্টারনাল
লিংকিং করে রাখবেন বা আরো পড়ুন সেকশন দিয়ে জুরে দিবেন তখন পাঠক এক পোস্ট থেকে
অন্য পোস্টে এক ক্লিকে যেতে পারবেন খুব সহজেই। কোনো পাঠক যখন কোনো বিষয়ে পোস্ট
পড়তে আসেন তখন ওই পোস্টের টপিক সংলিস্ট কোনো পোস্ট পাঠকের সামনে চলে আসলে সে
দ্রুত ওই লিংকে ক্লিক করে। তাই আপনার প্রতিটি পোস্টে আরো পড়ুন সেকশন এড
করুন ও ইন্টারনাল লিংকিং করুন।
আপনার আর্টিক্যাল লেখা সম্পর্ন্ন হয়ে গেলে পুরো পোস্ট জাসটিফাই করুন। আপনার
পোস্টে টপিক অনুযায়ী ইমেজ সেট করুন। ইমেজ এ অলটার টেক্সট ও টাইটেল টেক্স অবশ্যই
দিবেন কারন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করে।
মেটা ডেসক্রিপশনের কার্যকারিতা
আপনার ওয়েবসাইট যদি সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাংক পায়, তাহলে মেটা ডিসক্রিপশন একটি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মূলত সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP)
ব্যবহারকারীদের আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়। মেটা ডেসক্রিপশন
শুধু সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নয়, এটি পাঠকদের আকর্ষণ করারও একটি কার্যকর উপায়।
শিরোনামের পরে একজন পাঠক ডেসক্রিপশন পড়ে , ডেসক্রিপশন পড়ে পাঠকের যদি ভালো
লাগে বা পাঠক যা চাচ্ছে সেটা পাওয়ার সম্ভবনা পাই তাহলে সে পোস্টে ক্লিক করে। সে
জন্য ডেসক্রিপশন দিতে হবে পুরো পোস্ট এর মধ্যে কি থাকছে তা সংক্ষেপে বর্ণণা
দিয়ে মূল কথা তুলে ধরতে হবে। কারন পাঠক শিরোনাম দেখার পরে ডেসক্রিপশন দেখে তারপর
যদি পাঠকের ভালো লাগে তহলে সে পোস্টে ক্লিক করে ভিতরে প্রোবেশ করেন।
পাঠকদের ক্লিকে উৎসাহিত করা
মেটা ডেসক্রিপশনে পাঠকদের জন্য একটি প্রশ্ন বা সমাধানের ইঙ্গিত দিন। উধারনস্বরুপ,
"আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর সহজ উপায় জানতে চান?" এধরনের লাইন পাঠকদের
ক্লিক করাতে অনুপ্রাণিত করে। কিছু শক্তিশালী কল-টু-অ্যাকশন ( CTA ) যোগ করুন,
যেমন "আরও জানুন" "এখনই পড়ুন" বা "দেখুন কিভাবে"। এটি কনটেন্টের প্রতি পাঠকদের
আগ্রহ আরো বারায়।
আপনার ডেসক্রিশনটি যেন সরাসরি পাঠকদের প্রয়োজন মেটায়। যদি এটি তাদের সমস্যার
সমাধান বা প্রয়োজনিয় তথ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে তারা অবশ্যই ক্লিক করবে।
তাই আপনি যখন ডিসক্রিপশন দিবেন তখন চিন্তা করে ভালোভাবে দিবেন যাতে মূল তথ্য থাকে
এবং সহজ ভাষা ব্যবহার করবেন।
মনে রাখুন, মেটা ডেসক্রিশন আপনার কনটেন্টের প্রথশ ইম্প্রেশণ। এটি যত আকর্ষণীয়
হবে, আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক তত বেশি বাড়বে। তাই আপনার কনটেন্টের মূল কথা কি বা
আলচনার বিষয়বস্তু কি অল্প কথায় ডেসক্রিপশনে এ বুঝানোর চেষ্ট করুন। ডেসক্রিপশন 150
শব্দের মধ্যে দিয়ে পূরণ করতে হয়, আর এই অল্প শব্দের কথা দিয়ে আপনার লং পোস্টের
মূল বিষয়বস্তু কি তুলে ধরতে হবে পাঠকদের সামনে। সুন্দর করে সহজ ভাষায় ডেসক্রিপশন
দিবেন যাতে যেকেউ পড়ে আপনার আর্টিক্যাল সম্পর্কে ধারনা পায় যে ভিতরে কি আছে।
ডেসক্রিপশন পড়ে পাঠক যদি বুঝতে পারে তার জন্য তথ্য আছে এই পোস্টে তাহলে পাঠক
আপনার পোস্টে ক্লিক করে পোস্ট পড়বে আর আপনার ইনকাম হবে।
পার্মালিংক
পার্মালিংক আপনার পোস্টের সার্চ র্যাংকিং এর জন্য প্রধন। পার্মালিংক এক থেকে দুই
শব্দের মধ্যে হতে দিতে হবে। আপনার পোস্টের ফোকাস কিওয়ার্ড পর্মালিংক এ দিতে হবে ।
সাধারন অটোমাটিক পার্মালিংক সিলেক্ট করা থাকে আপনাকে ক্যাস্টম পার্মালিংক সিলেক্ট
করে SEO Permalink বসাতে হবে। ২ - ৩ ওয়ার্ড এর বেশি পার্মালিংক ব্যবহার করবেন না,
চিন্তা করে ফোকাস কিওয়ার্ড দেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে পোস্টের SEO ভালো হবে
এবং পোস্টটি দীর্ঘদিন গুগোলে থাকবে। পার্মালিংক আপনি আপনার ইচ্ছামত অক্ষরে
ব্যবহার করতে পারবেন ছোট হাতের বা বড় হাতের দেন সমস্যা নাই।
পার্মালিংক এর প্রতেকটি ওয়ার্ড এর পর " - " করতে হবে যেমন| "
SEO-ফ্রেন্ডলি-আর্টিক্যাল " এমন করে মাঝখানে - চিহ্ন টা ব্যবহার করবেন।
শেষ মন্তব্য
আর্টিক্যাল লেখার জন্য আপনি নিজের স্কিল কে কাজে লাগাবেন নিজের দক্ষতা, মেধা
শক্তি কে কাজে লাগাবেন। আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে নিত্যপ্রতিদিন নতুন কিছু শিখার
জানার আগ্রহ থাকতে হবে তবেই আপনার কাজ ঠিকঠাক হবে এবং আপনি কাজের মধ্যে আনন্দ্য
খুজে পাবেন। এই পৃথিবীতে যত ঙ্গানিগুনি ব্যাক্তি গন আছেন তাদের সময়ের সাথে
পরিশ্রম এবং নিজের প্রতি আন্তবিশ্বাস তাদের সমাজ ও বিশ্ব জগতের চখে বড় করে তুলে
ধরেছেন। তাই আপনাকেও দৈনিক পরিশ্রম করতে হবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে হলে অলশতা করা
যাবে না, অলশতা কখনো সফলতা এনে দিতে পারে না। নতুন কিছু জানার আগ্রহ থেকে রিসার্চ
চালাতে হবে কাজের প্রতি শ্রদ্ধা, মনোযোগ ও গভির ভালোবাসা থাকতে হবে। মনে রাখবেন
আপনি আপনাকে যেভাবে সবার সামনে তুলে ধরবেন ঠিক তেমনি আপনাকে সবাই চিনবে।
তাই নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান নিজেকে সবার সামনে কোন ক্যাটাগরিতে পরিবেশন
করতে চান মেমরিতে সেট করুন এবং কাজে ফোকাস করুন। SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিক্যাল লেখার
জন্য আপনার কোনো বিষয় জানার থাকলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন ইনশাআল্লাহ ওই বিষয়ে
পোস্ট পাবেন।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url