এলাট্রল কিসের ঔষধ - দুশ্চিন্তা ও এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার মহা ঔষধ

 Alatrol ( এলাট্রল ) যাতে রয়েছে সেটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি। আজকে আমরা যে ঔষধটি নিয়ে আলোচনা করবো ইতি মধ্যে আপনারা জেনেই গিয়েছেন। এলাট্রল প্রস্তুত করা হয়েছে আমাদরে বাংলাদেশের সুনামধন্য স্কয়ার কম্পানিতে। 

এলাট্রল কিসের ঔষধ - দুশ্চিন্তা ও এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার মহা ঔষধ

আজকের আলোচনায় থাকবে ঔষধটি কি কি উপাদান দ্বারা তৈরি করা, কি কি সমস্যাতে আপনি সেবন করতে পারবেন এবং ঔষধটি সেবন এর পূর্বে আপনাকে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে? ঔষধটি সেবন এর নিয়ম কি  গর্ভাবস্থায় ঔষধটি সেবন করা যাবে কি না? এই ঔষধ সেবনে  কোন প্রার্শপ্রতিক্রীয়া রয়েছে কিনা ও ঔষধটির বর্তমান বাজার মূল্য কত? এলাট্রল ঔষধটির কিছু বিষেশ ক্ষতিকর দিক রয়েছে বিস্তারিত দিক তুলে ধরবো।

পোস্টসূচি পত্রঃ এলাট্রল কিসের ঔষধ - দুশ্চিন্তা ও এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার মহা ঔষধ

আজকের আলোচনায় থাকবে ঔষধটি কি কি উপাদান দ্বারা তৈরি করা, কি কি সমস্যাতে আপনি সেবন করতে পারবেন এবং ঔষধটি সেবন এর পূর্বে আপনাকে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে? ঔষধটি সেবন এর নিয়ম কি  গর্ভাবস্থায় ঔষধটি সেবন করা যাবে কি না? এই ঔষধ সেবনে  কোন প্রার্শপ্রতিক্রীয়া রয়েছে কিনা ও ঔষধটির বর্তমান বাজার মূল্য কত? এলাট্রল ঔষধটির কিছু বিষেশ ক্ষতিকর দিক রয়েছে বিস্তারিত দিক তুলে ধরবো। 

এলাট্রল কিসের ঔষধ - ( Elatrol 10 )  কাজ কি? 

আপনি যদি অনেক দূশ্চিন্তায় থাকেন, মাথায় সারাক্ষণ চিন্তা ঘুরপাক খায়, রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না, অথবা নার্ভের ব্যাথা হয় তাহলে এলাট্রল সেবন করতে পারেন। এটা খেলে মাথা কিছুটা ঠান্ডা লাগে, ঘুম আসে ভালোভাবে, আর মন-মেজাজও একটু হালকা লাগে। অনেক সময় দেখবেন মাথার ভিতরে নানা রকম চিন্তা ঘুরে, পরিবারে চিন্তা, অফিসে কাজের চিন্তা, ইত্যাদি চিন্তা আমাদের মাথায় ঘোরে রাতে ঘুমাতে দেই না। এমন অবস্থাতে এলাট্রল আমাদের সাহায্য করবে চিন্তামুক্ত ঘুম দিতে। এককথায় এলাট্রল১০ একটি ঘুমের ঔষধ এবং মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। 

তবে এটাও ঠিক, এই  ঔষধ একদম হালকা কিছু না। মানে এটা খাওয়ার আগে জানতে হবে তুমি কেন খাচ্ছো ঠিক কী সমস্যা হচ্ছে আর অবশ্যই ডাক্তারের পরামরর্শে খেতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে বা ভাবেন, এটা শুধু ঘুমের ঔষুধ, কিন্তু আসলে এটা একটা মানসিক রোগের ঔষধ ,বিষণতা, মানষিক চাপ বা স্নায়বিক ব্যথার জন্য ব্যবহার করা হয়। কারো যদি আগে থেকেই কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যা থাকে, তাহলে নিজের ইচ্ছামতো উল্টো ক্ষতি হতে পারে। 

তকে আপনার এলাট্রল১০ খুব সাবধানে সেবন করা উচিৎ। কারন আপনি যদি বেশি খান বা নয়িম না মেনে গ্রহন করেন তাহলে ঝিমুনি, মাথা ঘোরা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, বা মন-মেজাজ খারাপ হওয়া মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আর আপনার যদি আগের থেকে হার্টের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, বা মানসিক সমস্যা থাকে, তাহলে এই ঔষধ না খাওয়াই ভালো হবে আপনার জন্য। অথবা খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আবারো বলছি এলাট্রল খাওয়ার প্রয়োজন যদি আপনার হয় তাহলে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন, তিনি জানাবেন এটা আপনার জন্য খাওয়া ঠিক হবে কি না। 

এলাট্রল সিরাপ কিসের ঔষধ - কি কারনে এলাট্রল সিরাপ খাওয়া হয়। 

 আপনি কি জানেন এলাট্রল সিরাপ বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুবই উপযোগী। এই সিরাপ মূলত অ্যালার্জির জন্য ব্যবহৃত ঔষধ। যখন আপনার বা আপনার বাচ্চার ঠান্ডা লাগে ও বারবার হঁচি হয় নাক দিয়ে পানি পড়ে বা চোখ চলুকায় তখন এই এলাট্রল সিরাপ টি দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখবেন আপনার শরীরে র‌্যাশ বা চুলকানির মত সমস্যা হয়, র‌্যাশ বা চুলকানি হওয়ার কারন কি? এর পিছনে দায়ী অ্যালার্জি। এলাট্রল শরীরের হিস্টামিন নামক রাসায়নিক পদার্থের কাজ আটকে দেয়, যেটা এসব উপসর্গের কারন। এরকম সমস্যা দেখা দিলে আপনি এলাট্রল সেবন করতে পারেন তাহলে ধীরে ধীরে  এই সমস্যাগুলো কমে আসবে। 

আপনি যদি এই এলাট্রল সিরাপ রাতের বেলা সেবন করেন তাহলে একটি ভালো সুবিধা পাবেন। এই সিরাপ সেবনের পর অনেক সময় ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে আপনার শরীর ঝিমুতে শুরু করে অথাৎ শরীরের মধ্যে অচিনতিত্ত ঘুম অনুভব করবেন। দনিরে বেলা এই সিরাপ খাওয়ার ফলে ঘুমিয়ে পড়লে বিরক্তিকর হতে পারে, তাই সিরাপ এমন সময় খাওয়াতে হবে যাতে ঘুমের সমস্যা না হয় বা ঘুমলে শরীরের ক্ষতি না হয়। বাচ্চা যখন অসময়ে ঘুমাবে তখন তার ব্রেন এবং শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলবে। তাই আপনার বাচ্চা কখন ঘুমায় এমন সময় নির্ধারণ করে এলাট্রল সিরাপ খাওয়াবেন। অনেক মা - বাবা আছেন যারা এই সিরাপ খাওয়ানোর মাত্রা জানেন না বা জানার পরেও বেশি পরিমানে খাওয়ে দেন, এমন কাজ ভুলেও করা যাবে না। ডাক্তার যা বলবেন তেমনটাই দেওয়া উচিত। কারণ সবার শরীর ও ঔষধের প্রতি প্রতিক্রিয়া এক রকম নয়। 

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে এলাট্রল সিরাপ শুধু শিশুদের জন্য নাকি বড়দের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়। জ্বী হ্যা  বড়দের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়, তবে বড়দের জন্য ডোজ আলাদা হয়। কারো যদি দীর্ঘদিন ধরে এলার্জি সমস্যা থাকে যেমন ডাস্ট এলার্জি বা পাওয়ার প্লেনে সমস্যা তাহলে ডাক্তার প্রেসক্রিপশন দিলে এটা নেয়া যেতে পারে। তবে এলাট্রল কোন জাদু নয় যে একবার খেলেই সব এলার্জি চলে যাবে। এটা উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কিন্তু শিকড় থেকে সারায় না। তাই এলার্জির কারণগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।

বাচ্চাদের এলাট্রল ১৫ মিলি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - কি কি সাতর্কতা অমলম্বন করবেন। 

এই সিরাপ টি সম্পের্কে অনেকে কমবেশি জানি বা এই পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। কিন্তু আমাদের সোনা মুনি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিভাবে এই সিরাপ ব্যবহার করবেন কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে- তা আমাদের জানতে হবে ১০০ বার। কারন আমরা কখনো বাচ্চাদের বিষয়ে অবহেলা করবো না। এই এলাট্রল পেডিক্টিভ ড্রপ সম্পর্কে অনেকেই নানান রকমের হতাশা বা দুশ্চিন্তার মধ্যে ভোগেন যে শিশুদের কিভাবে খাওয়াবেন কোন ধরনের কত বছর শিশুদের জন্য এই ড্রপটি নির্দেশিত হয়ে থাকে কত বছর বয়স পর্যন্ত সেবন করানো যায়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে থাকবে বিস্তারিত আলোচনা আসুন দেখে নেওয়া যাক। 

১. ওষুধটি কী:
এলাট্রল (Elatrol) সিরাপ একটি অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ, যার মূল উপাদান হলো Chlorpheniramine Maleate। এটি ঠাণ্ডা, হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ চুলকানি, ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি ইত্যাদি অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে শিশুদের অ্যালার্জির ক্ষেত্রে এটি নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এলাট্রল ১৫ মি.লি সিরাপ মূলত শিশুদের ডোজ অনুযায়ী বোতলে দেওয়া হয়।

২. কাকে কবে ও কীভাবে খাওয়াবেন:
সিরাপটি শিশুদের বয়স ও ওজন অনুযায়ী খাওয়াতে হয়। সাধারণতঃ

  • ১–২ বছর বয়সী শিশুরা: দিনে ১ থেকে ২ বার, এক বারে ১.২৫ মি.লি (ডাক্তারের পরামর্শে)।

  • ২–৬ বছর বয়সীরা: দিনে ২ বার, এক বারে ২.৫ মি.লি।

  • ৬–১২ বছর বয়সীরা: দিনে ২ বা ৩ বার, এক বারে ৫ মি.লি করে।
    তবে, এই ডোজ আপনার শিশুর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে, তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ দেওয়া উচিত নয়।

৩. খাওয়ার সময় ও নিয়ম:
এলাট্রল সিরাপ খালি পেটে না খাওয়ানোই ভালো। খাবারের আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা পরে খাওয়ানো উত্তম। ঘুম ঘুম ভাব আসার কারণে রাতে খাওয়ানো বেশ উপকারী। সিরাপ খাওয়ানোর আগে বোতলটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে যেন ওষুধ সমানভাবে মিশে যায়। সিরাপ খাওয়ানোর জন্য মাপার কাপ বা চামচ ব্যবহার করতে হবে—চোখ মাপ নয়।

৪. খাওয়ানোর সময় যেসব সাবধানতা জরুরি:

  • ওষুধ খাওয়ার পর যদি বাচ্চা খুব বেশি ঘুমায় বা অস্বাভাবিক আচরণ করে, সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে জানাতে হবে।

  • এলাট্রল খাওয়ানোর সময় শিশু যেন বাইরের ধুলা-বালি বা অ্যালার্জির উৎসের কাছাকাছি না যায়।

  • সিরাপ খাওয়ানোর সময় ওষুধের মেয়াদ, খোলা বোতল কতদিন আগে খুলেছেন—তা খেয়াল রাখতে হবে।

  • কোনোভাবেই বেশি ডোজ দেওয়া যাবে না, ভেবে নেবেন না "বেশি খেলেই তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে।"

  • বাচ্চার যদি আগে থেকে অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো অসুখ থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিরাপ দেওয়া যাবে।

৫. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effects) কী হতে পারে:
এলাট্রল সিরাপে সামান্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন:

  • ঘুম ঘুম ভাব

  • মুখ শুকিয়ে যাওয়া

  • বাচ্চা চুপচাপ বা অস্থির হয়ে যাওয়া

  • খুব বেশি খুশকুশে কাশি
    এই লক্ষণগুলো খুব বেশি হলে বা অস্বাভাবিক মনে হলে ওষুধ বন্ধ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হব

এলাট্রল এর উপকারিতা 

১। চুলকানি প্রতিরোধ করে।

২। এলার্জি ভালো করে।

৩। একজিমা দূর করে।

৪। হাঁচি কাশি নিরাময় করে।

৫। গলা খুসখুস ভালো করে।

৬। শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করে।

৭। চোখ দিয়ে পানি পড়া ভালো করে।

৮। নাক দিয়ে পানি পড়া ভালো করে।

৯। এলার্জি জনিত সমস্যা নিরাময় করে।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করবেননা।


ফার্মাকোলজি 

এলাট্রল একটি শক্তিশালী h1 রিসেপ্টর অন্টাগনিস্ট যার কোন গুরুত্বপূর্ণ এন্টিকলিনারজিক এবং  এন্টিসেরটনিক প্রতিক্রিয়া নেই। ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ার অতিক্রম করে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে না বিধায় সাধানণ কার্যকরী মাত্রায় এটি তন্দ্রাচ্ছন্নতা সৃষ্টি করে না। এলাট্রল হিস্টামিনজনিত এলার্জির প্রারম্ভিক পর্যায়কে প্রতিরোধ করে এবং এলার্জি প্রলম্বিত পর্যায়ের জন্য দায়ী প্রদাহ সৃষ্টিকারী কোষগুলোর অস্বাভাবিক চলাচল ও রাসায়নিক পদার্থগুলোর নিঃসরন কমিয়ে দেয়। এছাড়া এলাট্রল এ্যাজমা রোগীর শ্বাসের সঙ্গে প্রবেশকৃত হিস্টামিন দ্বারা শ্বাসনালীর সংকোচনকে দূর করে। এলাট্রল খুব দ্রুত বিশোষিত হয়। এলাট্রলের প্লাজমা হাফ-লাইফ ৬.৭ থেকে ৯.১০ ঘন্টা। 

শেষ মন্তব্যঃ

এলাট্রল নিয়ে আমরা বিস্তারিত জেনেছি এর মানে এই না যে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বাচ্চা ও আপনি সেবন করবেন। আপনি এই পোস্ট থেকে যা জানতে পেরেছেন সবগুলো তথ্য সঠিক। ডাক্তাররের পরামর্শ নিতে বলার কারন সবার শরীরের তাপমাত্রা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এক হয় না। যেকোনো ঔষধ সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়া উচিৎ। সকলের সুস্বাস্থ কামনা করছি আল্লাহ হাফেজ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url