দাঁতের ব্যথায় করনীয় ঔষধ -দাঁতের ব্যথার ঔষধ
কোন ভিটামিনে অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়-দাঁত কালো হয়ে যায় কান
দাঁত ব্যথা বা ডেন্টেল পেইন্ড কি কি কারনে হয়ে থাকে। অনেকের দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়, পচন্ড ব্যথা করে। আপনি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করেন, রাতে ঘুমানোর আগেও ব্রাশ করেন। আপনি দাঁতের সুস্বাস্থ রক্ষা করায় নিয়মিত ব্রাশ করেন। কিন্তু আপনার মাঝে মাঝে দাঁতে ব্যথা হয় । দাঁত ব্যথা যদি রাতের বেলা হয়ে যায় তাহলে আমরা কি করবো?
দাঁত ব্যথার পিছনে অনেক কারন থাকতে পারে যেমন- খাবার, ব্রাশ করার ধরন, আপনার ব্যবহার করা পেস্ট, ইত্যাদি কারনবসত হতে পারে। এই সকল সমস্যার সমাধান নিয়ে আজকের পোস্ট আসুন আমরা দেখি কিভাবে এই দাঁতের সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি।
পোস্টসূচিপত্রঃ দাঁতের ব্যথায় করনীয় ঔষধ -দাঁতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
কি কি কারনে দাঁতে ব্যথা হয়
যদি করো দাঁতে ক্যাবেটি হয়ে যায় এবং ক্যাবেটির পরিমান টা যদি বড় হয় তাহলে দাঁত
ব্যথা করবে। আবার আক্কেল মাড়ির দাঁত যদি কারো আটকে যায় বা আক্কেল মাড়ির দাঁত উঠার
সময় দাঁতে ব্যথা হতে পারে। আপনার দাঁতের মাড়িতে যদি ইনফেকশণ হয় তাহলে দাঁত ব্যথা
হতে পারে। এসকল ব্যথা থেকে পরিত্রান পাবো কিভাবে ?
যদি আপনার দাঁতে ( ক্যারিজ ) ছিদ্র বা গর্তের মত কিছু বুঝতে পারেন তাহলে দেরি না
করে ডাক্তারের সরনাপর্ণ হোন এবং ক্যাবেটিস সমস্যাটা সমাধান করে ফেলুন। ক্যবেটির
কারনে দাঁতে ছিদ্র হয় এবং দাঁত ব্যথা হয়। আবার অনেকের দেখবেন দাতে খাবার আটকে যায়
এবং ওই খাবার দীর্ঘদিন দাঁতের ফাকে আটকে থেকে মাড়ি ফুলে যায়, পচন্ড ব্যথা শুরু
করে দাঁতে । আমরা যখন গোস্ত দিয়ে খাবার খায় তখন এমন সমস্যা বেশি দেখা যায়। দাতের
ফাকে মাংশ আটকে থাকে বা খাবার আটকে থাক। এমন সময় আমরা কি করি খিচল করি বা ছুচালো
কিছু দিয়ে টুকিয়ে টুকিয়ে দাঁতের ফাক থেকে আটকে থাকা খাবার বের করার চেষ্টা করি।
আপনি যখন এই প্রসেজে দাঁতে আটকে থাকা খাবার বের করেন তখন দেখবেন দাঁতের মাংশ গুলো
ব্যথা হয়। এমত অবস্থায় আপনি যদি বের না করেন তাহলেও সমস্যা না করলেও সমস্যা। সে
জন্য আপনাকে অতি সাবধানে আস্তে ধিরে কাজটি করতে হবে। আর যদি দেখেন খাবার আপনার
আক্কেল মাড়িতে গিয়ে আটকে আছে বের করার মত প্রসেজ হচ্ছে না । তহলে অলসতা না করে
ডাক্তারের কাছে যাবেন।
দাঁতের ফাকে দীর্ঘদিন খাবার আটকে থাকলে ইনফেকশন হবে, দাঁত ক্ষয় যাতে, গর্ত হবে,
মাড়ি ব্যথা করবে। আমরা সকলে কম বেশি জানি দাঁতের ব্যথা কতটা তৃক্ন হয় ও মারাত্বক
হয়। সহ্য করা যায় না এত বেশি কষ্ট দেই আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। সে জন্য
অসুস্থতা অল্প থাকতে চিকিৎসা নিওয়া জরুরি।
আরেকটা ইসপেসাল ব্যথা আছে আমরা সহজে বুঝতে পারিনা কেন হচ্ছে ব্যথা। এই ব্যথা
দাঁতে হয় না কিন্ত দাঁতের মাংশ পেশিতে অনেহেতুক ব্যথা লক্ষ করা যায়। এমন ব্যথা হয়
মূলত নাড়ভের কারনে হয়ে থাকে এবং এটা আমরা অনেকে উপলব্দি করি যে দাঁতে কোনো
অসুবিধা নায় কিন্তু মড়িতে ব্যথা হচ্ছে। এমন টা হলে আমরা বুঝি নাড়ভের কারনে ব্যথা
হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের নার্ভস্পেসালিস্ট যারা আছেন বা মেডিসিন স্পেসালিট যারা
আছেন তাদের থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকতে পারি।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
যাদের দাঁতের ব্যথা রাতের বেলা শুরু হয় তারা কি যে যন্ত্রনায় ভুগতে থাকেন শুধু
মাত্র তারাই অনুমান করতে পারেন। যে দাঁতের ব্যথার জ্বালা কেমন জ্বালা, এইটা অন্তর
জ্বালার চাইতেও আরো বড় জ্বালা। আপনি যখন ঘরে থাকেন এমন সময় দেখা যাচ্ছে আপনার
দাঁতের প্রচন্ড ব্যাথা করছে। এমতবস্থায় বাজারে কোনো ঔষধের দোকান বা ডক্টর পাওয়া
যায় না যে ঔষধ কিনে খাবেন আর দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। ঠিক এমন সময়
আপনি কিভাবে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন?
যার দাঁতের ব্যথা হয়েছে শুধু মাত্র সেই জানে দাঁতের ব্যথার কি যন্ত্রনা হয়।
মানুষের দেহে যতগুলো ব্যথা হয় এর মধ্যে সবথেকে যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা হচ্ছে প্রসব
ব্যথা বা মহিলাদের বাচ্চা ডেলিভারির ব্যথা। এর পরে আছে দাঁতের ব্যথা এই ব্যথা
কাউকে বলে বুঝানো যায় না। এমন তৃব্র ব্যথা যদি আপনার রাতে হয় বা সচারচর হয়ে
থাকে দেখা যাচ্ছে এমন সময় ডক্টর, ফারমেসি, ঔষধ এর দোকান কোটাই পাওয়া যায় না। এখন
আপনার দাঁতের ব্যথা কমাতে বা তৃব্র ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কি করবেন এই বিষয় টি
এখন আমরা জানবো।
রাতের বেলা দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার যে সহজ সমাধান টি বলে দিব বা ঘরোয়া
উপায় জানাবো এতে আপনার দাঁতের ব্যথা কমে যাবে। আমি যে উপাদানটি দাঁতের ব্যথা
কমানোর জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে বলবো এই উপাদান টি সকলের বাসা-বাড়িতে পাওয়া যায়।
প্রথমেই আপনাকে যে কাজটি করতে হবে আপনি মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।
ঠান্ডা পানি মুখে নিয়ে কুলিকুচি করবেন কয়েকবার। যখন আপনি ঠান্ডা পানি মুখে নিবেন
তখন অনুভব করতে পারবেন আপনার আসলেই মুকের ভিতরে কোন স্থানটিতে ব্যথা করছে। যেখানে
আপনি ব্যথা অনুভব করবেন ওই জায়গাতে তুলো দিয়ে বা শুকনো কাপর দিয়ে পরিষ্কার করে
নিবেন।
যতটা সম্ভব আপনার ব্যথা কৃত স্থান পরিষ্কার করা যায় করে নিবেন। এর পর আপনার বাসায়
থাকা একটি বাটিতে করে দুই কোয় রসুন, দুইটি বা তিনটি লবঙ্গ একসাথে নিয়ে থেতলিয়ে
তার সাথে কিছুটা লবন মিশিয়ে একটি মেশ তৈরি করতে হবে। সেই মেশটি আপনার ভাঙ্গা
দাঁতে, ক্ষতস্থানে বা ব্যথা কৃত স্থানে চেপে ধরে রাখবেন। খুব জরে বা পেসার
দিয়ে চাপ দিতে হবে না আলতভাবে হাতের আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে রাখবেন। মেশটি প্রলেব
দিয়ে রাখবেন ১ থেকে ২ মিনিট ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে। এই প্রসেজটি ব্যবহার করার ৫
মিনিট পরে দেখবেন আপনার দাতের ব্যথা কমে গেছে আপনি অনেকটা আরাম অনুভব
করবেন। ঘরোয়া এই পদ্ধতিটি খুবি কার্যকরি আপনার যদি দাঁতে ব্যথা হয় তাহলে
অবশ্যই এটি প্রয়োগ করে দেখবেন।
দাঁতে গর্ত বা ক্ষয় হলে করণীয় কি?
দাঁতে ক্ষয়, দাঁতে গর্ত , দাঁতে কালো দাগ, আপনারা যে যেটাই বলেন বিষয়টা কিন্তু
একই সেক্ষেত্রে আপনারা সবাই সবার জায়গা থেকে ঠিক আছেন। দাঁতের ডক্টররা এটাকে
ডেন্টিসক্যারি বলে থাকে সহজ ভাষায় দাঁতের গর্ত। আমাদের এতগুলো দাঁত একটা দুইটা
গর্ত হতেই পারে বা হয়ে থাকে তাই এই বিষয়ে আমাদের সবার ভালো ঙ্গান বা জেনে
থাকা দরকার। কারন দাত আমাদের অমূল্য সম্পদ যেটা না থাকলে আমরা পেটের ক্ষুধা
নিবারন করতে পরবো না, কোনো জিনিস জিবিয়ে স্বাদ উপভোগ করতে পারবো না।
দাঁতের গর্ত বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সবারি কিন্তু হয় এবং পুরুষ মহিলা
ভেদাভেদ নেই। আমাদের সবারি দাঁত আছে আমরা দাঁত ব্যবহার করে খাওয়া দাওয়া করি তাই
আমাদের দাঁতে বিভিন্ন সমস্যা হয় । আপনার দাঁতের যদি ক্ষয় হচ্ছে বা দাঁতের যদি
গর্ত হচ্ছে। দাঁত আমরা সবাই সবার টা দেখি , হাসলে দেখি, কথা বললে দেখি, আয়নায়
দেখি। দাঁতের কালো দাগ, দাঁতের গর্ত, দাঁতের মধ্যে গর্ত, দাঁতের ক্যাবেটি , দাঁতে
এমন কালো হয়। অনেকে এখন মুখ খুললে দেখতে পাবেন যে কালো দাগ, গর্ত হয়ে আছে। তো
দাঁতের এমন সমস্যার কারন কি? কিছু একটা কারন আছে , কিছু একটা লস হচ্ছে, নয়ত দাঁত
সাদা ও ভালোই ছিলো কেনো কালো হবে বাচ্চাদের ও হয়। একবার যদি দাঁতের ক্ষয় হয়ে যায়
, দাঁতে যদি গর্ত হয়ে যায় তাহলে এটা এমনিতে ঠিক হবে না। এমন সমস্যা সমাধান করতে
অবশ্যই ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন পরবে।
আমরা কোনো কিছু খাচ্ছি, খাবার আমাদের দাঁতে লেগে থাকে, দীর্ঘখন খাবার আমাদের
দাঁতে লেগে থাকলে দাঁতে ব্যাকটেরিয়া হয়, অর্থাৎ মুখের মধ্যে অনেক
ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। আমাদের পুরো শরীরে ভালো খারাপ অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া
রয়েছে। অনেক ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহের জন্য কাজও করে অনেক উপকার করে। আবার দাঁতের
ব্যাকটেরিয়া এত ক্ষতিকর একটি বস্তু যা দাঁতের মত এত শক্ত একটি হারকে ক্ষয় করে
ফেলে অতি সহজে।
তাহলে এমন ক্যাবেটিস বা দাঁতে গর্ত হলে আমাদের করনিয় কি হতে পারে.? যদি আমরা দেখি
আমাদের দাঁতে ছোট একটি ছিদ্র হয়েছে তাহলে আমাদের কি কি করতে হবে? এমতবস্থায় আপনার
বাসায় কোনো কিছু করনিয় নাই সোজা ডেন্টিস এর কাছে যান চিকিৎসক এর থেকে চিকিৎসা
নিন। এমন সমস্যা নিয়ে বসে থাকবেন না তাহলে আপনার দাঁতের সমস্যা এমন পর্যায়ে যাবে
একটি দাতের জন্য সবগুলো দাতের সমস্যা হবে। তাই চিকিৎসা নিন দ্রুত।
আপনার দাঁতের ক্ষয় হয়েছে আপনার দাঁতের ক্যাবেটি হয়েছে আপনি মনে করছেন
ফারমেসি থেকে ঔষধ বা ট্যাবলেট খেলে ঠিক হয়ে যাবে, না ঠিক হনে না। এর জন্য আপনাকে
ডেন্টিস এর কাছে যেতে হবে। আর দাঁতের সমস্যা একদিনে হয় না, আমরা কোন কিছু খাচ্ছি
কিন্তু দাঁত পরিষ্কার করছি না বা পরিষ্কার করলেও ভালোভাবে পরিষ্কার করছি না।
এভাবেই অবহেলাতে নষ্ট করছি আমাদের মূল্যবান দান। আমাদের দাঁত সুস্থু রাখতে কি
পরিমান যন্ত নিতে হবে আপনি ভাবতেও পারছেন না কারন আপনার দাঁত একদিনে নষ্ট হয়নি
তাই একদিনে ঠিকও হবে। কিন্তু সঠিক কৈাশল ও নিচে দেখানো ঘরোয়া
পরামর্শ মেনে চলুন।
দাঁতের ব্যথার ৭টি পরীক্ষিত ঘরোয়া চিকিৎসা
জীবনে একবার হলেও দাঁতের ব্যথায় ভোগেননি এমন লোক খুজে পাওয়া কঠিন। আপনার হঠাৎ
দাঁতের ব্যথা কেড়ে নিতে পারে রাতের ঘুম। কিছু সময় এর জন্য জীবন হয়ে উঠতে
পারে বিভিষীকাময়। তবে কিছু কিছু বিষয় জানলে ঘরে বসে নিজে নিজেই করা যায় দাঁতের
চিকিৎসা।
অনেকের ক্ষেত্রেই দাঁতের ব্যথায় লবন পানি একটি কার্যকর ঘরোয়া চিকিৎসা
হতে পারে, কারন লবন পানি একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। তাছাড়া এটি দাঁতের ফাঁকে
আটকে থাকা খাবারের কণা আলগা করতে সহায়তা করে। লবন পানি দাঁতের প্রদাহ বা
জ্বালাপোড়া কমাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি মুখের ক্ষত নিরাময়েও রয়েছে কার্যকরী
ভূমিকা। ব্যবহারের নিয়ম দেখুন:
এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে মুখে কিছুক্ষণ রেখে কুলকুচি
করুন। এভাবে মাউথ ওয়াশের মত কয়েকবার ব্যবহার করুন।
হাইড্রোজেন পারক্সাইড দাঁতের ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমাতে খুবই কার্যকর। তাছাড়া এটি
মুখের ভিতরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের পাশাপাশি দাঁতের গোড়া বা মাড়ির
রক্ষ ক্ষরণ রোধে সাহায্য করে। দাঁতের ভিতরের পাশে জমে থাকা আস্তর বা প্লেক সরাতেও
ভূমিকা রাখে হাইড্রোজেন পারক্সাইড।
ব্যবহারবিধি দেখুন:- দাঁতের ব্যবহারের জন্য হাইড্রোজেন পারক্সাইডের সঠিক
মিশ্রনটি জানা জরুরি। এজন্য ৩ শতাংশ হাইড্রোজেন পারক্সাইড সমপরিমান পানির সাথে
মিশিয়ে মাইথওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করুন।
দাঁতের তীব্র ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে ঠান্ডা কোনো কিছু বা বরফ সেঁক বেশ
উপকারি। কারন ঠান্ডা সেঁক দেয়ার ফলে আপনার দাঁতের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে যায়।
ঠলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। ফলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। এ জন্য একটি কাপড়ে এক খন্ড বরফ
নিয়ে ব্যথার স্তানে ২০ মিনিট ধরে রাখুন এভাবে কয়েবার করুন।
ব্যথা কমানো ও দাঁতের নেসিটিভিটি বা সংবেদনশীলতা কমাতে ব্যবহৃত পুদিনা পাতার
টি-ব্যাগ অত্যন্ত কার্যকর। এজন্য একটি ব্যবহৃত পুদিনা পাতার টি-ব্যাগ ঠান্ডা করার
জন্য কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর আক্রান্ত দাঁতে ব্যাগটি সরাসরি চেপে
ধরুন।
হাজার বছর ধরে রসুন এর প্রাকৃতি ঔষধী গুণাগুনের জন্য স্বীকৃত ও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া ধ্বংস করার পাশাপাশি ব্যথা উপশমেও কাজ করে রসুন।
ব্যবহার করবেন যেভাবে- প্রথমে একটুকরো রসুন পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এতে সামান্য
লবন মিশিয়ে আক্রান্ত দাঁতে লাগিয়ে দিন। এছাড়া চাইলে রসুন সরাসরি চিবিয়ে খেলেও
উপকার হয়।
শতাব্দীকাল ধরে লবঙ্গ দাঁতের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত একটি উপকরণ। লবঙ্গর নির্জাসে
রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক উপাদান, যা ব্যথা ও সংক্রমণ কমাতে খুবই কার্যকর।
লবঙ্গের নির্জাস থেকে বিশেষ উপায়ে তৈরি তেল বর্তমানে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
ঘরোয়া চিকিৎসায় তুলা বা কটন বাডে করে দুয়েক ফোটা লবঙ্গের তেল নিয়ে সরাসরি দাঁতের
ক্ষত স্থাতে লাগিয়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া এককাপ পানিতে কয়েক
ফোঁটা লবঙ্গের তেল মিশিয়ে মাউথওয়াশের মত ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজনে কয়েকটি লবঙ্গ
ঘরোয়া উপায়ে পাটায় বেটেও নির্জাস বের করে ব্যবহার করা যায়
মুখ ও দাঁতের যত্নে পেয়ারা পাতা চিকিৎসা বিঙ্গানে স্বীকৃত একটি উপকরণ। পেয়ারা
পাতায় এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ক্ষত সারাতে সহায়তা করে। এজন্য
তাজা কয়েকটি পেয়ারা পাতা সরাসরি মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এছাড়া বেটে রস বের করে
অথবা কয়েকটি পাতা ফুটন্ত পানিতে মিশিয়ে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ঘরোয়া চিকিৎসায় দাঁতের ব্যথা পুরোপুরি ভালো না হলে অবশ্যই একজন ড্রেনটিস এর
পরামর্শ নিতে হবে।
দাঁতে ব্যথা হলে কি ঔষধ খাবেন জেনে নিন
অনেকে আছেন দাঁতের ব্যথা হলে ফারমেসিতে গিয়ে নিজের ইচ্ছামত ঔষধ কিনে খেতে থাকেন।
যখন আপনার দাঁতের ব্যথা চলে গেলো তখন আপনি ঔষদ খাওয়া বন্ধ করে দিলেন। ধরেন আবার
আপনার ব্যথা বেড়ে গেরো আপনি আবার ফারমেসিতে গিয়ে ঔষধ মনমত ঔষধ কিনে
খেলেন। এভাবে বার বার আপনি যখন ঔষধ কিনে খাবেন তখণ এই ঔষধ গুলো আপনার
শরীরের উপর ব্যাড ইফেক্ট ফেলবে।
দাঁতের ব্যথার জন্য সঠিক নিয়ম না জেনে আপনি যদি মনমত ঔষধ কনটিনিউ করেন তাহলে
আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে জাবে এবং পরবর্তিতে আপনার শরীরের কোনো ঔষধী
কাজ করবে না। এজন্য আমাদের ঔষধ খাওয়ার ব্যপারে অতন্ত সাবধান হতে হবে।
দাঁতের ব্যথা হতেই পারে, আপনার জন্য সঠিক যে পরামর্শ সেটি হচ্ছে দাঁতের ব্যথা হলে
অবশ্যই ভালো কোনো দাঁতের ডাক্তারে পরামর্শ নিতে হবে। আর যে ঔষধ টি ব্যতিতো
আপনি দাঁতের ব্যথার ঔষধটি সেবন করতে পারবেন না, সেটি আপনাকে জানতে হবে। কারন
সাময়িক সুস্থার জন্য আপনার দাঁতের ব্যথার ঔষধ খাওয়া লাগতে পারে।
যারা দাঁতের ব্যথার ঔষধ খেতে খেতে দাঁতটিকে ধংশ করে ফেলেছেন। কারন দাঁতে ব্যথার
ঔষধ খেলে ব্যথা সাময়িক সময়ের জন্য উপশম হয়, কিন্তু দাঁতটি স্থায়িভাবে ভালো
হয়ে যায় না। ধরুন আপনার দাঁতের মধ্যে কোন একজায়গায় গর্ত হয়ে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে।
এখন আপনি যাদি ঔষধ খান তাহলে ব্যথা চলে যাবে কিছু সময় এর জন্য কিন্তু আপনার
দাঁতের গর্তিটি কি ভালো হয়ে গেলো? মটেই না। এই গর্তটিকে ভালো করার জন্য এই
দাঁতটিকে পুরোপুরি সুস্থ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন ডেন্টিস এর কাছে যেতে হবে।
আপনি যতখন না কোন দাঁতের ভালো ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন ততখন পর্যন্ত আপনার দাঁত
পর্যায় ক্রমে খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকেই চলে যাচ্ছে। এজন্য কোন ঔষধ না
খাওয়ায় ভালো। তারপরেও ধরুন আপনি ডাক্তারের কাছ থেকে ধুরে রয়েছেন কিংবা এই
মূহুর্তে আপনি ড্রেনটিস এর কাছে যেতে পারছেন না বা ডাক্তারের কাছে যেতে আপনার সময়
লাগবে। তাহলে আপনি কি করবেন! অবশ্যই আপনি ঔষধ খাবেন। তার আগে আমি আপনাকে
কিছু পরামর্শ দিতে পারে বিকল্প হিসাবে।
কুসুম কুসুম গরম পানিতে আপনাকে লবন দিয়ে মিশ্রণ করে নিতে হবে তাহলে আপনার ব্যথা
কিছু সময়ের জন্য কমে যাবে। আর তাছাড়া অনান্য অনেক ঘরোয়া পদ্ধতি ত উপরে বলেই
দিলাম সেগুলো ব্যবহার করুন। তারপরেও যে ঔষধ টির কথা আমি আপনাদের বলবো সে
ঔষধ টি হচ্ছে প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধ। এটি যেমন আপনার শরীরের জন্য কিছুটা
নিরাপদ এবং এর সাইটইফেক্ট কিছুটা কম ও এটি দাঁতের ব্যথার জন্য কাজ
করে।
প্যারাসিটামলে কিছু এক্সটেন্ড রিজিওস রয়েছে যেমন নাপাএক্সটেন্ড, এক্সপা, এক্সআর,
এধরনের ঔষধ ৬৬৫ মিলিগ্রাম এই ঔষধ গুলো আপনি খেতে পারবেন শুধু মাত্র আপনি পন্য
বয়স্ক হন তাহলে। আপনার শরীরে যদি কোন রোগ না থাকে যেমন ডাইসেটিস, হার্ড এর সমস্যা
পেসার এধরনের রোগ যদি আপনার শরীরে না থাকে তাহলে প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধ
আপনি খাবেন।
শেষমন্তব্যঃ
দাঁতের সমস্যাতে আপনি যত দ্রুত সম্ভব ডেন্টিস এর কাছে গিয়ে আপনার সমস্থ সমস্যা
খুলে বলবেন। ডাক্তার আপনাকে যেভাবে সমাধান করে দিতে চান সেভাবে আপনি সমাধান করে
নিবেন। উপরে দেখানো সকল পদ্ধতি আপনার দাঁতের সুসাস্থ রক্ষা করবে যদি আপনি সঠিক
নিয়মে ব্যবহার করেন। সকলের সুসাস্থ কমনা করে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url